যশোর প্রতিনিধি : যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার শিল্পশহর নওয়াপাড়ায় ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা চলছে। এতে একদিকে যেমন মানুষের উপকার হচ্ছে তেমনি অপচিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্থের সংখ্যাও কম নয়। কারণ এখানে বৈধ-অবৈধ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম নয়। অবৈধ নুহা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক নাজমুল ও কর্মচারীরা অভিযানের খবর পেয়ে সটকে পড়লেও সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন অবৈধ ওই নুহা ডায়াগনষ্টিক ও ল্যাব ওয়েব-এর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘ দিনের বিভিন্ন অনিয়মের খবরে মঙ্গলবার আকশ্মিক অভিযানে আসেন। অভিযান পরিচালনা কালে গতবার যাদের সতর্ক করা হয়েছিল তাদের প্রতিষ্ঠানের খোজ খবর নেন ও অভিযান চালান। মাঝে মাঝে এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবেন বলেও তিনি জানান।
নওয়াপাড়ায় বেসরকারি ২টি ক্লিনিক ও ৫টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিজান চালিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন এ অভিযান পরিচালনা করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক, আল-মদিনা ক্লিনিক, পপুলার ডায়াগনষ্টিক, নুহা ডায়াগনেষ্টিক, লাইফ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক, ফয়সাল ডায়াগনষ্টিক ও ল্যাব ওয়েব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিজান চালিয়ে ল্যাব ওয়েব ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও নুহা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহামুদুর রহমান রিজভী ও মেডিকেল অফিসার ডা. রেহনেওয়াজ। অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহামুদুর রহমান রিজভী জানান, বেশ কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়েছে তবে বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারনে ২টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
যশোর সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, আমরা বেশ কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছি এর মধ্যে সঠিক কাগজ পত্র ও ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায় ল্যাব ওয়ে ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও নুহা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ করা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, যে সব ডাক্তারদের হাসপাতালের পাশে ল্যাব রয়েছে তাদের ব্যাপারে আমাদের নিজেদের কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ চলছে, তবে এক্ষেত্রে নিজেদেরকেই সততার মধ্যে আনতে হবে। তিনি আরও জানান, প্রত্যেকটি রিপোর্টে মেডিকেল অফিসার নিরীক্ষা করে দেখবেন যে ওই রিপোর্টটির মান সঠিক আছে কি/না এবং সিগনেচার ছাড়া তা গ্রহণযোগ্য হবেনা।