রিজাউল করিম সাতক্ষীরা: ভূমিদস্যু আমিনুল ও আজিজ গং কর্তৃক তালা প্রেসক্লাবের স্থাপনা উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে প্রায় দু’ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু।
তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় মানববন্ধনে ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো পত্রিকার সাতক্ষীরার স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাছেরুল ইসলাম,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহমান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক অচিন্ত্য সাহা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আলাউদ্দীন জোয়ার্দ্দার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডোর আহবায়ক শেখ জাহিদুর রহমান লিটু, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম হিল্লোল, আওয়ামী লীগনেতা শাহাবুদ্দীন বিশ^াস, সৈয়দ ইদ্রিস, তালা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ জুনায়েদ আকবর, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এমএ হাকিম, জেএসডি কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান, জাসদনেতা দেবাশীষ দাস, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মির্জা আতিয়ার রহমান. কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুর রাজ্জাক রাজু প্রমুখ। তালা প্রেসক্লাব ছাড়াও মানববন্ধনে পৃথক ব্যানারে অংশগ্রহণে করে তালা উপজেলা নাগরিক কমিটি, তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডোসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ।
এ সময় বক্তারা ভূমিদস্যু বিএডিসি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও মহুরী আব্দুল আজিজের খুঁটির জোর কোথায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ১৯৮৩ সালে ০১নং খতিয়ানে ১৩০ দাগের ০.৩৮৭ একর জমিতে প্রেসক্লাবের ক্লাবের ভবনটি নির্মাণ করা হয়। অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এখানকার সংবাদকর্মীরা। প্রেসক্লাবের পিছনের একটি অংশে জায়গা ক্রয় করে আমিনুল ও আজিজ তাদের অবৈধ টাকায় অট্টালিকা নির্মাণের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু তাদের সামনের অংশে থাকা প্রেসক্লাবের জায়টিও তারা দখলে নিয়ার পায়তারা করছে। আর এ কাজের জন্য তারা সার্ভেয়ার ইমদাদুল ইসলাম তারেককে ম্যানেজ করে একটি ভূয়া প্রতিবেদন দাখিল করে। উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে সাতক্ষীরা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোঃ আক্তার হোসেন কর্তৃক উচ্ছেদের একটি নোটিশ প্রেসক্লাবের ক’জন ভাড়াটিয়াকে প্রদান করেন। যা নিয়ে তালার সুধী সমাজসহ সর্বস্তরের জণগনের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বক্তারা বলেন, প্রেসক্লাবের জায়গা উদ্ধার করতে প্রয়োজনে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।