সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী, প্রতিনিধি : বাবা মা কারো সহযোগিতা লাগবে না। এখন হুইল চেয়ারে বসে একাই স্কুলে যাবে, নীলফামারী ডোমারের শারীরিক প্রতিবন্ধী কামাল। গত ২১ আগষ্ট বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও জাতীয় পত্রিকার শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত খবরটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি সংস্থার জুনিয়র ফিল্ড অফিসার কাজী মোঃ মনিরুজ্জামানের দৃষ্টিগোচর হয়। মনিরুজ্জামান মানবিক কারনে ব্যক্তিগত ভাবে ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা অফিসে যোগাযোগ করে একটি হাতে চালানো হুইল চেয়ার কুরিয়ারের মাধ্যমে প্রকাশিত পত্রিকার ডোমার উপজেলা প্রতিনিধি আলমগীর হোসেনের বরাবর পাঠিয়ে দেন। ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিনিধির হাতে হুইল চেয়ারটি পৌঁছে।
শুক্রবার(৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ডোমার রিপোর্টার্স ক্লাবে হুইল চেয়ার দানকারী মনিরুজ্জামানের পক্ষে প্রতিবন্ধী কামালের হাতে চেয়ারটি তুলে দেন ডোমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ। এসময় রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রতন কুমার রায়, সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি সত্যেন্দ্রনাথ রায়,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ডোমার শাখার সভাপতি জাবেদুল ইসলাম সানবীম, সাংবাদিক পঞ্চানন রায়, সবুজ রায়, কামালের মা করিমন বেগম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: দীর্ঘ ৯ বছর বাবা-মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতেন নবম শ্রেণির ছাত্র শারিরীক প্রতিবন্ধী কামাল (১৭)। কিন্তু কামাল এখন বাবা মায়ের কোলে চড়ে নয়, একাই নিজে হাতে চালিয়ে হুইল চেয়ারে বসে স্কুলে যেতে চায়। কামালের বাবা মা দিনমজুর হওয়ায় তাদের পক্ষে প্রতিবন্ধী ছেলেকে হুইল চেয়ার কিনে দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিলো না। নিরুপায় ওই দম্পতি সন্তানের আবদার মেটাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারী দপ্তরে একটি হুইল চেয়ার পাওয়ার আশায় ছেলেকে কোলে নিয়ে ঘুরছেন। ডোমার স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের বিষয়টি নজরে আসলে কামালের হুইল চেয়ারের প্রয়োজনে একটি সংবাদ প্রকাশ করে।