পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সুজানগর উপজেলায় সোনালী আশেঁর দিন ফিরে আসতে শুরু করেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমান জমিতে সোনালী আঁশ পাট চাষ করা হয়েছে। সুজানগর পৌরসভা সহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় বর্তমানে পাট কাটা,জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণীরা। অন্য বছরের তুলনায় এবারে পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুঁটেছে হাঁসির ঝিলিক।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সময়মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিচ্ছে কৃষকেরা। চাষীরা পাট কেটে নদী,নালা,খাল,বিল, ও ডোবায় জাগ দেওয়া,আশঁ ছড়ানো, এবং হাটে বাজারে তা বিক্রি করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আশঁ ছড়ানোর কাজ চলছে। সাগরকান্দি গ্রামের খলিলপুর গ্রামের পাট চাষী সামছুল আলম বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তবে পড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলন ভাল হয়েছে। পাটের বর্তমান বাজারে কৃষকের লাভ হচ্ছে তবে শ্রমিকের মুল্য বেশি না হলে বেশি পরিমান লাভের মুখ দেখত কৃষকেরা । তাঁতিবন্দ গ্রামের কৃষক আজিবর বলেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পাটের ফলন কম হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে।
গতকাল স্থানীয় পৌরহাটে গিয়ে দেখাযায় ভালমানের পাট ২১’শ টাকা থেকে ২২’শ টাকা এবং নিম্নমানের পাট ১৭’শ থেকে ১৮’শ টাকা মণ দরে বিক্রয় হচ্ছে। আর এবারে পাটের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আনার স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। সুজানগর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রবীন সাংবাদিক আব্দুস শুকুর বলেন গত কয়েক বছর কৃষকরা পাট চাষ করে লোকসান খাচ্ছিল। ফলে এ অবস্থায় সুজানগরের কৃষকেরা পাট চাষ প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল। কিন্তু এবারে পাটের বাজার ভাল হওয়ায় সুজানগরের চাষীদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ময়নুল হক সরকার জানান এবছর পৌরসভা সহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭‘শ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাট আবাদ হয়েছে।