চেয়ারম্যান এএম রফিকউল্লাহ জানান, রাত তিনটার দিকে একদল দূর্বৃত্তরা আমার বাড়ি লক্ষ্য করে ১১ টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া ৩ টি শর্টগানের গুলি ছোড়ে। তবে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর সাথে আমার নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার একটি বাড়িতে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় আমি আমিনপুর থানায় জিডি করেছি। আমার ধারনা জিডি করাতেই পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনার সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ঘুম ভেঙে আপনাদের কাছে প্রথম জানলাম। তিনি বলেন, সামনে জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। আমাকে নানা ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে আমার দলের মধ্যেই প্রতিপক্ষ গ্রুপ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছে, নগরবাড়ি ঘাট নিয়ে প্রতিপক্ষ দুটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই ঘাটের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।