পাবনা প্রতিনিধি : ‘চলনবিলকে বাঁচাতে রাজশাহীর চারঘাট ও আটঘরিতে দু’টি স্লুইসগেট উচ্ছেদের কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যারা আছেন, তাদের আন্তরিকতা দরকার। সেইসাথে রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাও আন্তরিক না হলে চলনবিলের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়ন প্রকল্প নেয়ার আগে চলনবিলকে নিয়ে ভাবতে হবে। তা না হলে সকল প্রকল্পই চলনবিলের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।’
চলনবিলের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনার চাটমোহর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রাজশাহী কার্যালয়।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, ইতিমধ্যে সরকার থেকে চলনবিল ঘিরে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যে প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কিছুই জানে না। প্রকল্পের সার্বিক দিক নিয়ে সাধারণ মানুষকে অবহিত করা দরকার। পর্যটনের নামে চলনবিলকে যেন হত্যা করা না হয়। চলনবিলকে চলতে দিতে হবে। চলনবিল থেমে গেলে জীবন জীবিকা, জীববৈচিত্র থমকে যাবে। তাই চলনবিল রক্ষায় সব শ্রেণীপেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বেগবান রাখতে হবে।
বেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সৈকত ইসলাম। মূখ্য আলোচক ছিলেন, চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ডা. গোলজার হোসেন।
বেলার রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী তন্ময় স্যান্যালের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম রোকেয়া আজাদ, ছাইকোলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন সরকার, চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আগমণী চক্রবর্তী, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলালুর রহমান জুয়েল, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুত্তালিব, আওয়ামীলীগ নেতা শামসুজ্জোহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, মৎসজীবি, কৃষক সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।