মেহেদী হাসান আকন্দ: এই আজব গুহায় যার বসবাস। নাম মুসলিম উদ্দিন নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরকোণা ইউনিয়নে বেতাটি গ্রামের মৃত আলফেস আলী ব্যাপারীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, মুসলিম উদ্দিন একজন ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তি কিন্তু সাংসারিক কাজকর্ম করতে অক্ষম। মুসলিম উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম গ্রামে গ্রামে ফেরিওয়ালার ব্যবসা করে সংসার চালাতেন।
বয়সের ভারে আজ হাসিনা বেগম আর পারেনা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ব্যবসা করতে। মুসলিম উদ্দিনের আপন ভাই ইউপি মেম্বার হওয়া সর্ত্বেও তাদের কপালে কোনদিনই জুটতো না সরকারি সহযোগীতা। অবশেষে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সুযোগ্য উপ-পরিচালক মো: আলাল উদ্দিন সাহেবের সরাসরি হস্তক্ষেপে সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই কপালে জুটে বয়স্কভাতা।
মুসলিম উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, গ্রামে গ্রামে ফেরি করে তিন ছেলেকে বড় করেছি। বড় দুই ছেলের সাংসারিক অবস্থাও খুব ভালো না। ছোট ছেলে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে মসজিদে চাকরী করে সংসার চালায়। ছোট ছেলের সংসারে স্ত্রী, তিন ছেলে ও আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ৭ জন সদস্য। সংসারে নিজের অক্ষমতাকে দায়ী করে স্বামী মুসলিম উদ্দিন কংস নদীর পাড়ে বেতাটি গোদারাঘাটের এই জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরেই বসবাস করে। বর্ষাকালে কুড়ে ঘরটি পানিতে ডুবে গেলেও তিনি এখানেই থাকেন। শুনতে আজব মনে হলেও সাপ, পোকা-মাকড়ই তার বিছানা সঙ্গী।