রাঙ্গামাটিতে এপেক্স বাংলাদেশের ৬০তম বছরপূর্তি উদযাপন

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : আন্তজার্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ গৌরবের ৬০তম বর্ষ অতিবাহিত করে ৬১তম বর্ষে পদাপর্ণ করেছে। হীরক জয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন করা হয়েছে হীরক জয়ন্তী উৎসব।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বিকালে রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের হল রুমে দুইদিন ব্যাপী এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ আয়োজিত হীরক জয়ন্তীর উৎসবের প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।

এপেক্স বাংলাদেশ জাতীয় সভাপতি এপে. নিজাম উদ্দিন পিন্টুর নেতৃত্বে ও জাতীয় বোর্ডের এনওয়াইসিডি এপে. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এপেক্স বাংলাদেশ জাতীয় সহ-সভাপতি এপে. ইলিয়াস জসিম। এছাড়া হীরক জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব এপে. সুজিত কুমার সাহা, এপেক্স বাংলাদেশের অতীত জাতীয় সভাপতি-লাইফ গভর্নরসহ এপেক্সের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দেশের এপেক্স আন্দোলনে বিশেষ অবদান রাখায় ২ জনকে এপেক্স রত্ম, ১ জনকে এপেক্স ডায়মন্ড, ৬ জনকে এপেক্স কান্ডারী মোট তিন ক্যাটাগরিতে নয়জন বিশিষ্ট এপেক্সিয়ানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সেবা, সৌহার্দ্য ও সুনাগরিকত্ব এই তিনটির উপর ভিত্তি করে গত ৬০ বছর ধরে এদেশের অসহায়, অবহেলিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ। ১৯৬১সালের ১৯ জুলাই থেকে বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবাদানকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশ তার পদযাত্রা শুরু করে। যা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জাঁকজমকভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, সমাজ তথা এপেক্স আন্দোলনে অবদান রাখায় বিশেষ ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা প্রদান, র্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক বনভোজন, পুরষ্কার বিতরণসহ নানা ধরনের কর্মসূচী পালিত হবে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানটি ঢাকায় উদযাপন করা হয় কিন্তু এ বছর পর্যটন এলাকা হিসেবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে উদযাপন করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটিতে এপেক্স বাংলাদেশের ৬০তম বছরপূর্তি উদযাপন
Comments (0)
Add Comment