পাবনা প্রতিনিধি : সরকারি নিষেধাজ্ঞায় গত ৪ অক্টোবর থেকে সারাদেশে চলছে ইলিশ নিধন বন্ধে অভিযান। উত্তরের জেলা পাবনাতেও পদ্মা ও যমুনা বিধৌত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন।
মৎস অধিদপ্তর, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরা প্রতিদিন-রাতে নদীগুলোতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারীদের ধরতে কাজ করছে। তার মাঝেও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ইলিশ ধরতে নদীতে নামছে জেলেরা।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এই ৯ দিনে পাবনার সুজানগর উপজেলার যমুনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৪৮টি অভিযান পরিচালনা করেছে মৎস অধিদপ্তর, থানা ও নৌ পুলিশ। এসব অভিযানের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয় ১৩টি এবং নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে ৪টি।
সহকারি পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, চারটি নিয়মিত মামলায় ৩৩ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আর ১৩টি ভ্রাম্যমান আদালতে ৬১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের অর্থ ও কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। সেইসাথে এসব অভিযানে জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ (কয়েক লক্ষ মিটার) জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত ইলিশ মাছ এতিমখানায় দেয়া হয়।
সহকারি পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, ইলিশের এই প্রজনন মৌসুমে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানতে হবে জেলেদের। তবেই ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। মাত্র ২২টি দিন ধৈর্য্য ধরলে পক্ষান্তরে উপকার জেলেদেরই। এই সময়ে ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশও তৎপরতার সাথে কাজ করছে।