নিজস্ব প্রতিবেদক : ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনের তফসিল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ ধাপের ইউপি নির্বাচনের তালিকায় রয়েছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছে অনেক নেতা। তারা দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও এলাকাবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
ডিবিগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তেমনি একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম ওয়াহেদ আলী। তিনি বর্তমানে ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নৌকার মনোয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে চান। সেই লক্ষ্যে অনেকদিন ধরেই তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে, গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও দোয়া চাচ্ছেন।
খৈরাশ গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে ওয়াহেদ আলী। ১৯৭০ সালের ৪ জুন জন্ম নেওয়া এই আওয়ামীলীগ নেতার বর্তমান বয়স ৫১ বছর। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ২০১৭ সাল থেকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জেলা যুবলীগের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। এছাড়া ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে ১৯৮৯ সালের দিকে বিএনপি-জামায়াতের সাথে মারামারির ২টি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন। একটি মামলায় ৬ মাস ও অপর মামলায় ৩ মাস সাজাও হয় তার। পরে ২২ দিন সাজা ভোগ করার পর আপিলের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পান। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারির প্রহসনমুলক নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওয়াহেদ। তার পিতা মরহুম কোরবান আলী সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫টি পরিবারকে আশ্রয় ও খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন।
এস এম ওয়াহেদ আলী এলাকায় একজন ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতা ও সাধারণ মানুষের সাথে মিশে থাকা একজন মানুষ হিসেবে সবার কাছে সুুপরিচিত। এলাকার মানুষের বিপদ আপদে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সবসময়। করোনাকাল সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষের মাঝে সাধ্যমতো ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতিক মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার আশায় মাঠে নেমেছেন। তিনি নৌকা প্রতিক পেলে এবং জয়ী হলে সাধারণ মানুষের সুখে দুখে পাশে থেকে কাজ করতে চান। তিনি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আত্মনিয়োগ করতে চান।
#