পাবনা প্রতিনিধি : “ডিজিটাল সাদাছড়ি, নিরাপদে পথ চলি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতীক মহিলা ও শিশু সংস্থা’র আয়োজনে এবং অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও কমনওয়েল্থ ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় পিআরপিডি-সিআই প্রকল্পের আওতায় পাবনা মিডিয়া সেন্টারে আলোচনা সভা ও সাদাছড়ি বিতরণ করা হয়। শনিবার বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা ফারজানা তাজ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক, বাংলা ভিশনের ষ্টাফ রিপোর্টার আঁখিনুর ইসলাম রেমন, এড. ফাহিমা সুলতানা রেখা, বাঁচতে চাই’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রব মন্টু, অল ইন ওয়ান প্লাটফর্মের মডারেটর উদ্যোক্তা স্বর্নালী ইসলাম স্বর্না, উদ্যোক্তা জিনিয়া শারমিন রুলি, উদ্যোক্তা ফারহানা ইসলাম। প্রতীক মহিলা ও শিশু সংস্থা’র সাধারন সম্পাদিকা মাহি রহমানের সভাপতিত্বে সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মি কামাল সিদ্দিকী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন। প্রধান অতিথি বলেন, লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের হিসাব মতে, বিশ্বে ২৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ পুরোপুরি ও আংশিক ভাবে চোখে দেখে না। এসব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ চলাচলের জন্য হাতে সাদাছড়ি ব্যবহার করে থাকেন, যাতে যারা চোখে দেখেন তারা তাদের চলাচলে সহযোগিতা করতে পারেন। নিরাপদে সড়কে ও অন্যান্য স্থানে চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার প্রতীক হিসেবেই সাদাছড়ি ব্যবহার করা হয়। সভার সঞ্চালক সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী কামাল সিদ্দিকী বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা, সামাজিক মর্যাদা এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৫ অক্টোবরকে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাদাছড়ি বহনকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিরাপদে পথ চলতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোই এ দিবসের মূল লক্ষ্য। আয়োজক সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা মাহি রহমান করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি সরকারের শনাক্তকরণ জরিপের মাধ্যমে শনাক্তকৃত এবং শনাক্তকরণের আওতাভুক্ত হয়নি সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রতিবন্ধীতার ধরণ অনুসারে আলাদা করে অসহায়, দুস্থ ও কর্মহীন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার আওতায় আনা এবং নারী, শিশু ও অধিক মাত্রার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে অগ্রাধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় বা করোনা উপসর্গ দেখা দেয়, তাদের জন্য করোনা সেবা প্রদানকারী কেন্দ্র বা হাসপাতালগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা প্রদান, যেসব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতা পান তাদেরকে করোনা পরিস্থিতি চলাকাল পর্যন্ত সরকারের ভিজিডি, ভিজিএফসহ অন্যান্য সেবার আওতায় আনা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা, করোনা সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক, স্যানেটাইজারসহ সব ধরণের সুরক্ষাসামগ্রী বিনামূল্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।