তৌহিদ উদ দৌলা রেজা: মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম সাকলায়েন ছেপু বলেন সুসময়ে সবাই দলের পদে যেতে চাই।আমরা যে সময় ছাত্রলীগ করেছি সেই অনেকে ছাত্রলীগের নাম মুখে নিতো না। আমার পরিবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বিএনপির-জামাতের জোট সরকারের আমলে হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি।
আমার দুই বিঘা জমির বিভিন্ন ফলদ ও বনজএর গাছ কেটে নিয়েছে বিএনপির নেতারা। মাঠের ৩ বিঘা জমির আখ কেটে নিয়েছে তাছাড়াও নানামুখী আক্রমণের শিকার হয়েছিলাম। তখন যারা মজা করেছে তারা আজও মজা করছে। আর আমার পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হয়েও আমরা এতো নির্যাতন শিকার করেও তৃণমূল আওয়ামী লীগের সাথে থেকেও হাইব্রিড আওয়ামী লীগে হুমকিতে থাকতে হচ্ছে। তাহলে তৃণমুলের ত্যাগি নেতাদের কি হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিকট অনুরোধ জানিয়ে আরও বলেন আরেক বার রায়পুর ইউনিয়ন বাসীর সেবক হিসেবে থাকতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রীর নিকট আমার আকুতি আমাকে জনগণের আরেক বার সেবা করার সুযোগ দিন।
গতকাল শনিবার বিকেলে গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের পথসভা ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় কান্নারত অবস্থায় এভাবেই নিজের কথা গুলো তুলে ধরেন। এসময় তিনি আরও বলেন দীর্ঘ ১৪ বছর বিএনপির নেতারা এই রাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদে দখল করে রাখে। দীর্ঘদিন পর আমি জনগনের মন জয় করে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার বিজয় ঘটিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করি। তারপর থেকেই সাধারণ মানুষের সাথে আছি। নির্যাতিত আওয়ামী লীগে সাথে আছি। দলের নেতাকর্মীদের চাপে আমি আজকের পথসভা ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তিন তিন বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজার, ইউনিয়ন আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু সাইদ, সাধারণ সম্পাদক আইনাল হক, কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক রানা আহমেদ, ইউনিয়ন তাঁতি লীগের সভাপতি তারেক আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ডাবলু, ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সহসভাপতি ইমরান খান, সাধনা আহাদুজ্জামান হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ডা কাউন্সিল গাংনী উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক বিশিষ্ট শিক্ষক সেকেন্দার পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও রাইপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, ইউনিয়নের সকল ওয়াড আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পযার্য়ের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন গ্রামের আওয়ামী লীগের ত্যাগিনেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রাটি ইকুরী থেকে বের হয়ে হেমায়েতপুর,চাঁদপুর শালদহ, আনন্দ বাস,রাইপুর,শিমুলতা,ঝোর পাড়া,কড়ুইগাছি,বড়বামন্দী, হারিয়াদহ গোপাল নগর মড়কা হয়ে বাজার ইকরী গিয়েছিল শেষ হয়। বাংলাদেশ পুলিশের এলাঙ্গী ও হেমায়েতপুর ক্যাম্পের সদস্যরা সুবিশাল এই মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেন।