পাবনা সংবাদদাতা : অভিযোগ প্রমানিত না হওয়া আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার আতিয়ার হোসেন দুদকের মামলা থেকে বেকুসুর খালাস পেয়েছেন। দূর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের কমিশনার(তদন্ত) মো: জহুরুল হক স্মাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত ১৫-০৮-২০১৯ তারিখে পাবনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরহাদ মাজহার বাদী হয়ে ভিজিএফ কার্ডের ৩৮ বস্তায় ১ হাজার ৫২০কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আতাইকুলা ইউপি চেয়ারম্যান খ.ম আতিয়ার হোসেনসহ মোট ৩ জনের নামে আতাইকুলা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনভুক্ত অপরাধ হওয়ায় আতাইকুলা থানার তৎকালীন ওসি মনিরুজ্জামান আইন সম্মত মামলা রুজুর জন্য দুদক পাবনা কার্যালয়ে আবেদন করেন। গত ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিতে চেয়ারম্যান আতিয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে চেয়ারম্যান খম আতিয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলা থেকে খালাস দেওয়ার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার লিখিত প্রতিবেদনে জানান, ২০১৯ সালে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে অসহায় গরীব দুঃখীদের জন্য ৩ হাজার ৯৬৫টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে জনপ্রতি ১৫ কেজি চাল প্রদানের জন্য মোট ৫৯.৪৭৫মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঈদের আগে ৩৫২৫ ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ করা হলেও ৪৪০টি কার্ডের চাল বিতরণ সম্ভব হয়নি।
যা ট্যাগ অফিসার, চেয়ারম্যান আতিয়ার ও ইউপি সচিব ৩ জন যৌথ স্বাক্ষর করে পরিষদ ভবনের গোডাউনে চাল হেফাজত রাখেন। এছাড়াও ২২টি প্লাষ্টিকের বস্তায় ৮৮কেজি চাল জব্দ করা হয়। যা ভিজিএফের চালের চটের বস্তার সাথে কোন মিল পাওয়া যায়নি। মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় চেয়ারম্যান আতিযার হোসেন জানান, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও পরিকল্পিতভাবে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই কাজটি করা হয়েছিল। আমার পরিষদ ভবন থেকে যে ২২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছিল সেটি পরিষদের চৌকিদার ও লেবারদের ভিজিএফের চাল। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন আত্মসাতের চাল কেউ পরিষদে রাখবে ? বুঝতেই পারছেন ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই তিনি ন্যায্য বিচার পেয়েছেন।