মাহফুজ আলম. কাপ্তাই ( রাঙামাটি) থেকে : কাপ্তাই ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে দু’ পক্ষের সংঘর্ষে রাঙামাটি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্য তম সদস্য ও দুই দুইবারের নির্বাচিত মেম্বার এবং বর্তমানে কাপ্তাই নতুন বাজার এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী সজিবুর রহমানকে হত্যার অভিযোগে ২৭ অক্টোবর দিনগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে কাপ্তাই থানায় নিহত সজিবের বোন দুধ নাহার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা কাপ্তাই থানায় দায়ের করেন, মামলা নম্বর – ৪, তারিখ ২৮/১০/২০২১, কাপ্তাই থানা।
এরই প্রেক্ষিতে কাপ্তাই থানা পুলিশ ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করে আনুমানিক বিকাল ৫টার দিকে কাপ্তাই থেকে রাঙামাটি জেলা জজ আদালতে সোপর্দ করার সংবাদ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১/ মোঃ সালাউদ্দিন, ২/ মোঃ আলাল উদ্দিন, ৩/ আরিফুল ইসলাম বাবু,৪/ মোশাররফ হোসেন, ৫/ মোঃ মনির হোসেন, ৬/ মোঃ সোহেল,৭/ মোঃ গোলাম রসুল সবুজ। থানা সুত্রে জানা যায় মঙ্গলবার (২৬অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড নতুন বাজার এলাকার কাপ্তাই – চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক সংলগ্ন মা বেকারি সামন এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ভাবে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিনগত রাতে কাপ্তাই ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় কাপ্তাই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ এবং কাপ্তাই ইউনিয়নের আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) এবং বর্তমান ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দীন পাটোয়ারী বাদল এর সমর্থকদের মধ্যে তর্ক বির্তক হয় এক পর্যায়ে উভয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সংঘর্ষে ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার সজিবুর রহমান ( ৪৫) মারা যান। তবে সংঘর্ষের সূত্রপাত সম্পর্কে পুলিশ এবং স্থানীয়রা বিস্তারিত জানাতে পারিনি। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো এলাকা নজরদারিতে রেখেছে।
কাপ্তাই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ঘটনার বিস্তারিত জানায়নি। এর আগে চলতি মাসের ১৬ অক্টোবর দিনগত রাতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আ’লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে (৬০) আগাপাড়া এলাকায় তার নিজ বাড়িতে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এনিয়ে কাপ্তাই ও চিৎমরম ইউনিয়নে দুই প্রার্থী হত্যাকান্ডের স্বীকার হলো।