বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে ইউনিয়নের বারভাগিয়া গ্রামে গোলাগুলি এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠে। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সুজানগর উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাটখালী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ খান বলেন, ‘গত ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন থেকেই এখানে দলীয় প্রার্থীর লোকজন মারমুখী আচরণ শুরু করে।
বৃহস্পতিবার রাতে বারভাগিয়া গ্রামে নৌকার প্রার্থীর পাঠানো সমর্থকরা এসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। রাতে অতর্কিত ভাবে সাধারণ লোকজনের ওপর গুলি করলে আমার বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়। পরে সন্ত্রাসীদের দাওয়া দিলে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা একই ইউনিয়নের নুরুউদ্দিনপুর বাজারে আমার একটি নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ তার।
তবে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রউফ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা হাটখালী ইউনিয়নে ঘটেনি। আমার জনপ্রিয়তা ও নিশ্চিত বিজয় দেখে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটি মূলত বারভাগিয়া গ্রামের বিশ্বাস ও মোল্লা গোষ্ঠি কেন্দ্রিক একটি ঝামেলা হয়েচে। এই ঝামেলাকে নির্বাচনি সহিংসতা দেখানোর অপচেষ্টা করে নির্বাচনের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আনারস প্রতীক ও বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ খান। এমন অবিযোগ তার।
সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ নভেম্বর সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে। উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুর রউফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ খান ও সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনছার আলী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।