তৌহিদ উদ দৌলা রেজা: অর্পন-দর্পন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মেহেরপুরে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়ি প্রতিযোগিতার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব ও লকডাউনে আমার মা বইয়ের লেখক এবং অর্পন-দর্পন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নির্র্বাহী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থাপক কবি ও গবেষক ড. সাইফ ফাতেউর রহমান।
জেলা কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শারমীনা পারভীন, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর রহমান ও অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম। কমিটির সদস্য আবু সাদাত মোঃ সায়েম পল্টুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শার্হ আলম, গাংনী উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম, গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রভাষক শফি কামাল পলাশ, গাংনীর বাশবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলিমুজামান, পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোমিনুল ইসলাম, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের গাংনী উপজেলা সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এগিয়ে যাওয়ার জন্য বই পড়ি প্রতিযোগিতার পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে (ক) বিভাগের প্রথম স্থান অর্জন করে যৌথভাবে জোরপুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ আরাফাত রহমান ও রিওন আহমেদ, যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্পা খাতুন ও এবং জোরপুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তাকিয়া খাতুন। (খ) বিভাগের প্রথম স্থান অর্জন করে জোরপুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খালিদ হাসান রনি, যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে তেতুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উম্মে হানি বৃষ্টি ও ধানখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আফরোজা শিরিন জেবা। (গ) বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের শির্ক্ষাথী তরিকুল ইসলাম ও যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের তাশফিয়া অনু এবং করমদি কলেজের মোঃ কামাল হোসেন। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ, সনদপত্র ও বিভিন্ন লেখকের বই তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। শপথ বাক্য পাঠ করান তাশফিয়া অনু।