তৌহিদ উদ দৌলা রেজা: ঝিনাইদহ পৌরসভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু। নির্দেশিকা ৮ এর ১ ধারা মোতাবেক তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় কেন্দ্র বা যেখানে তামাক জাতদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করা হয় তার পৃথক লাইসেন্স ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। চলতি বছরের আক্টোবর মাসে ঝিনাইদহ পৌরসভা কার্যালয় হতে ১৬০ টি এ লাইসেন্স সংগ্রহ করেন ব্যবসায়িরা।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঝিনাইদহ পৌরসভা, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ভুক্ত সংগঠন ‘পদ্মা সমাজ কল্যান সংস্থা’ এর সহযোগিতায় এবং এইড ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উদ্দ্যোগে এ লাইসেন্সিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পৌর এলাকার যে সমস্তদোকানে তামাক জাতদ্রব্য বিক্রয় করা হয় ও বিক্রয় কেন্দ্রে কোন কোন ধরণের বিজ্ঞাপণ প্রচার করা হচ্ছে সেগুলো তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। ডিজিটাল জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে উক্ত জরিপে মোট ৬৮৭ টি দোকানে চুড়ান্তট্যাপ্স ভায়োলেশন তালিকা মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অচিরেই দোকানের তালিকা অনুযায়ী লাইসেন্সিং কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় অক্টোবর মাস পর্যন্ত পৌরসভা হতে মোট ১৬০ টি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের সতন্ত্র লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে সচিব মোস্তাক আহম্মেদ এবং লাইসেন্স অফিসার আকরাম হোসেন বলেন মেয়রের নির্দেশনা আছে, এইড ফাউন্ডেশন কর্তৃক সরবরাহকৃত ‘ট্যাপ্স ভায়োলেশনের তালিকা অনুযায়ী সকল দোকানকে পর্যায়ক্রমে স্বতন্ত্র লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে। সকল দোকান লাইসেন্সিং এর আওতায় নিয়ে পরর্বতীতে বিক্রয় কেন্দ্রের পরিমান কমিয়ে দেওয়া হবে।