পাবনা প্রতিনিধি : দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ১২ জনকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সংগঠনের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ অমান্য করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন।
সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন আরও জানান, সাংগঠনিক শৃংখলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শৃংখলা বিধি গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর ঠ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের সকল পদ পদবী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সাথে নির্বাচন কালীন সময়ে কোন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে বা দলের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও অসহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলেও দলীয় ভাবে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন, সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল হোসেন। দুলাই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, মানিকহাট ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস আলী মল্লিক, হাটখালী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ খান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আজাহার আলী শেখ, ভায়না ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ওমর ফারুক, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য টিপু আলী মুন্সি, একই ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার লিমন, সাগরকান্দি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তৈয়ব আলী শেখ এবং ইউনিয়ন আ.লীগ সদস্য ডা: টিপু সুলতান, আহমেদপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইউপি আওয়ামী লীগ কর্মী মাহবুবুর রহমান হিরা, তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্থানীয় আ.লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক খান রাজা।
অব্যাহতি প্রাপ্তরা দলীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দলের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ জেলার সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর এই উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।