পাবনা প্রতিনিধি : নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরীর দাবি জানিয়েছেন পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিক।
নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় এই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগের তীর নৌকার প্রার্থী শফিউল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান উজ্জ্বল এবং তাদের সমর্থকদের দিকে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের বনকোলা বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিক বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি মাঠে নামার পর থেকেই আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল ইসলাম ও তার সমর্থকরা নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করছেন। হুমকি ধামকী সহ ভোট কেন্দ্র জবর দখল করে ভোট কেটে নেয়ারও হুমকি দিচ্ছেন নৌকার প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
আব্বাস আলী মল্লিকের অভিযোগ, গত রোববার রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান উজ্জ্বলের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল ইসলামের ছোট ভাই মুরাদ, উজ্জ্বল, ভাতিজা গাজী সহ শতাধিক লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় আনারস প্রতিকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর এবং সমর্থকদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে কয়েকজন আহত হয়। এখন উল্টো তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।
এছাড়াও কামরুজ্জামান উজ্জল উপজেলার দশ ইউনিয়নের মধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নের বেশকিছু স্থানে ১২/১৫টি গাড়ীর বহর নিয়ে দিনরাত দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র অবস্থায় এনে ভীতি সৃষ্টি করে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে ভীতি সঞ্চার করছে।
এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস মল্লিক। তিনি দাবি করেন, শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহণের পরিবেশ তৈরী করে প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আলী, ডা. মাজেদুল হক, সাহেব আলী মোল্লাসহ বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মি, সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ।
অভিযোগের বিষয়ে নৌকা মনোনীত প্রার্থী শফিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং ওই সময় আমার নির্বাচনী প্রচারণার দল বনকোলা দিয়ে যাবার সময় আব্বাস মল্লিকের লোকজন আমার লোকের উপর হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ও প্রচার মাইক ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া এখানে কামরুজ্জামান উজ্জ্বলের কোনো ভূমিকা নেই। তিনি কোনো কাজ শেষে এ রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবো এটাই স্বাভাবিক। তবে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারা নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নিজেরাই মারামারি করে তার দায় নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকদের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছেন। তাদের সাথে রয়েছে জামাত-বিএনপির একটি অংশ। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই।