পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা সুগার মিলের শ্রমিক কর্মচারিদের ৬ মাসের বেতন-ভাতাসহ আখচাষিদের ১১ কোটি টাকা বকেয়ার পরিশোধের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিল গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসমাবেশ করেছে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিক-কর্মচারি ও আখচাষিরা।
এদিকে মিলে ২৪ কোটি টাকা মূল্যের ৪০০০ টন চিনি অবিক্রিত থাকায় এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে এবং চিনি বিক্রি ছাড়া বকেয়া পরিশোধ সম্ভব নয় এমন দাবি করছে মিল কর্তৃপক্ষ। পাবনা সুগার মিলের টারবাইন অপারেটর ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জল সরদার বলেন, মিলে নিয়মিত শ্রমিক রয়েছে ৪০০ জন, মওসুমি শ্রমিক রয়েছে ২০০ জন এবং চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক রয়েছে ১০০ জন। শ্রমিক ও কর্মচারিরা টানা ৬ মাস বেতনভাতা পাননি। শ্রমিক-কর্মচারিদের বকেয়া এসে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি টাকা। আর যারা এই মিলের চালিকা শক্তি তারা হলেন আখচাষি। অথচ এই আখ চাষিদেরও ৩ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে গেছে। বেশ কিছু ধরেই শ্রমিক ও কর্মচারিরা বকেয়ার দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন। তারা কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বকেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ ও পথ সমাবেশ করে আসছেন। বুধবার বিক্ষোভ মিছিল শেষে পথ সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রমিক-কর্মচারি সংগঠনের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহীন, সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদ হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক মাসুম হোসেন।
একাধিক শ্রমিক ও কর্মচারির সাথে আলাপকালে তারা বলেন, আমাদের আন্দোলন শুরু করলেই মিল কর্তৃপক্ষ এসে আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করেই আমাদের শান্ত করে দেন। কিন্তু মাসের পর মাস পেড়িয়ে গেলেও আমরা বকেয়া বেতন ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। তাদের দাবী, আগামি সাতদিনের মধ্যে আমাদের বকেয়া পাওনাদী পরিশোধ করা না হলে আমার বৃহত্তর আন্দোলন ও কর্মসূচী ঘোষনা করবো। পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, মিলে ২৪ কোটি টাকার ৪ হাজার টন চিনি অবিক্রি রয়েছে। চিনিগুলো বিক্রির জন্য প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। চিনি বিক্রি করতে না পারলে শ্রমিক-কর্মচারী ও আখ চাষিদের বিল পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এছাড়াও সামনে মওসুম, কারখানা প্রস্তুত করতে হবে। যে কারণে মজুদ চিনিগুলো বিক্রি করে বকেয়া পরিশোধ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।