নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়ার দুধর্ষ সন্ত্রাসী আলম খা (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার টাটিপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের টাটিপাড়া গ্রামের জালাল খার ছেলে। আতাইকুলা থানার আতাইকুন্দা গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুর রশিদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম প্রধান আসামী। এ ছাড়া আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র, ইয়াবাসহ মাদক বিক্রি, ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। আলমের গ্রেফতারের খবরে এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে।
সিআইডি সুত্র জানায়, পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া এলাকার মানুষজন আলমের অত্যাচারে অতীষ্ঠ ছিল। সে নারী ধর্ষন, অপহরণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালি উত্তোলন ও সালিশ বানিজ্যসহ নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত। এ ছাড়া চরমপন্থিদের মধ্যে সে অস্ত্র যোগান দিত বলে অভিযোগ আছে।
এলাকাবাসী জানায়, কেউ তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহত পেতনা। আলম খা পেশায় দুবলিয়া ফজিলাতুননেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নাইট গার্ড। তবে এলাকাবাসীর জানায়, এ ধরনের লোক কিভাবে চাকরি পায়। সে কোন সময় স্কুলে ডিওটিও করে না। সম্প্রতি আতাইকুলা থানার আতাইকুন্দা গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক আব্দুর রশিদ কে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখে। এ ঘটনায় আলম খা সহ ১৫ জনের নামে মামলা হলে সিআইডি শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে। সিআইডির সাব ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আলম খা কে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে আনা হবে। আলম খা দুবলিয়া ফজিলাতুননেছা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মধ্যে সন্ধ্যার পরে ইয়াবা সেবন করে থাকে। দুবলিয়া বাজারের অনেক দোকানদার তাকে মাসিক চাঁদা দিতে বাধ্য হয়। সে বহু নারী ও শিশু কে জিম্মি করে ধর্ষন করেছে এবং দুবলিয়া, মৌল্লিক পাড়াতে বারেক বিশ্বাসে ক্লাস ফোরে পড়ুয়া মেয়ে কে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে বহু বার ধর্ষন করেছে।
আলম মাঝে মধ্যেই রাতের বেলা ফাকা গুলি ছুড়ে মানুষের মধ্যে আতংক তৈরি করতো। এলাকাবাসী আরও জানায়, এতদিন সে বিএনপির লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করলেও সম্প্রতি সে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাবনা সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সুর্নিদিষ্ট মামলাসহ আলমের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ গুলোর সঠিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলমের রিমান্ড চাওয়া হবে।