পাবনা প্রতিনিধি : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবা উজ্জল শেখ তার স্কুল পড়ুয়া ছেলে শিহাব হোসেনকে একটি এন্ড্রয়েড ফোন কিনে দিতে না পারায় বাবার উপর অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। পাবনার আমিনপুর থানার শিবপুরে বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মৃত শিহাব কাশিনাথপুর কামরুজ্জামান ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিল।
পারিবারিক ভাবে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে বাবার কাছে শিহাব একটি এন্ড্রয়েড ফোন কিনে দেয়ার দাবী করে। কিন্তু অসহায় বাবার আর্থিক সামর্থ্য না হওয়ায় কিনে দিতে পারেননি ওই ফোনটি। বাড়ির সবার অজ্ঞাতে শিহাব মায়ের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে নিজ শয়ন কক্ষের আড়ার সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের জন্য পিঠা বানিয়েছি। সে আর পিঠা খাবে না। এ পিঠা আমি কাকে খওয়াবো বলে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। কান্না করছিলেন আর সন্তান হারা বাবা উজ্জল শেখ বলছিলেন, একটি মোবাইল আজ আমার সকল স্বপ্ন ভেঙে গুড়িয়ে দিলো। মোবাইল দিতে পারিনি। আমি যোগ্য বাবা হতে পারিনি।
মৃত শিহাবের বন্ধু অন্তর যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। শান্ত স্বভাবের ভালো একটি ছেলে সে কি করে আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। কেন এমন করলো। এ প্রশ্নের উত্তর পায়নি অন্তর। শিহাবের প্রতিবেশিরা জানান, আসলে মোবাইল ফোন না পেয়ে নাকি প্রেম প্রত্যাখ্যান হয়ে সে মারা গেছে সেটা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেন, নিহত শিহাব দুঃসম্পর্কের এক মামাতো বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ধারণা করছেন, প্রেমের প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।