রিমন পালিত: বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবান সদর উপজেলায় পুশৈ থোয়াই মারমা (৪২) নামে এক জেএসএস নেতার লাশ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) বান্দরবান সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্বরত ছিলেন। তবে মগ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (এমএনপি) কর্তৃক তাদের নেতাকে হত্যা করেছে বলে জেএসএস সংগঠনের দাবি।
নিহত ব্যক্তি, পুশৈ থোয়াই মারমা( ৪২), কুহালং ইউনিয়নের চেমী ডলুপাড়ার অংসা চিং মারমার ছেলে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) চন্দ্রঘোনা সড়কে আমতলী এলাকায় থেকে মাটি চাপা হতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত্রে চেমী ডলুপাড়া পুশৈ থোয়াই সহ কয়েকজন ওই গ্রামে এক বাড়িতে দাওয়াত খাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পুশৈ থোয়াই মারমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রসীরা সবাই মুখে মাষ্ক পড়া অবস্থা ছিল। এতে কাউকে চিহৃিত করতে পারিনি স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে সোমবার সকালে মাটি চাপা পড়ার অবস্থা অর্ধগলিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই এলাকা জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আমলতী পাড়াবাসীরা জানান, পুশৈ থোয়াই মারমাকে অপহরণ শুনেছি। পরে রাত্রে কয়েক রাউন্ড গুলি আওয়াজ শুনে তারা। সকালে লাশ খোজাখোজি পর সেগুন বাগানে পাহাড়ে উপর তার লাশটি মাটি চাপা পড়া অবস্থা দেখে।
জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা সাধারন সম্পাদক ক্যবামং জানান, তথ্যটি এখনো আমার কাছে পরিষ্কারভাবে আসেনি। তবে সে মারা গেছে এবং তাঁকে মগ পার্টি মেরেছে সেটা শুনেছি।
বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর বলেন, সকালে এলাকাবাসী ফোন দিলে ঘটনায় আসি। পরে লাশটি উদ্ধার করার জন্য পুলিশ খবর দেওয়া হয়। কে বা কারা করেছে সেটি এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জেএসএস নেতার লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা খুন করেছে তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।