মো. হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বাল্যবিয়ের কবল থেকে রক্ষা পেল উর্মিতা আক্তার (১৪) নামে ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী। সে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের মোজাফফর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রী ও চুড়ালী গ্রামের মোঃ সাবদুল শাহীনের কন্যা। রবিবার ওই ছাত্রীর বাবা-মা’র কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।
জানা গেছে ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে ছাত্রীর বাড়িতে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলাকালে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতানা বেগম আকন্দ। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আকস্মিক এই অভিযানে ভেস্তে যায় বাল্য বিয়ের আয়োজন। বিষয়টি গ্রামের সচেতন মহল মুঠোফোনে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা হাসান মারুফকে অবহিত করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তাৎক্ষনিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দ্দেশ দেন। তিনি সরেজমিনে ওই ছাত্রী বাড়িতে উপস্থিত হন।
এদিকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার উপস্থিতির বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির পুরুষরা সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুলতানা বেগম আকন্দ জানান, ইউএনও স্যারের নির্দেশে ওই বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কোন পুরুষ ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি ও পাত্র পক্ষকেও গিয়ে পায়নি। পরে ওই বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দিয়ে মেয়ের পিতা- মাতাকে রবিবার অফিসে যাওয়ার নিদ্দের্শ দেন। পরে রবিবার তারা অফিসে গেলে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রাখা হয়।