মেহেরপুর প্রতিনিধি : ক্রয়সুত্রে প্রাপ্ত জমির দখল পেতে ও পুলিশি হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুরের গাংনীর চৌগাছা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ওরফে আলতাফ হোসেন। সোমবার সকালে গাংনী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে আশরাফুল ইসলাম ওরফে আলতাফ হোসেন জানান, তিনি গত ২৩ নভেম্বর ১৯৯৬ ইং তারিখে বাঁশবাড়িয়া মৌজার ২২৫ খতিয়ানের ২৫২ ও ১৫৯ নং দাগে ৪১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
যার দাতা ছিলেন শিশিরপাড়া গ্রামের রহমতুল্লাহ, লিয়াকত আলী ও সালেহা বেওয়া। ওই জমির মধ্যে দাতাদের বোনের অংশ ক্রয় না করায় ২০১০ সালে দাতাদের অনুরোধে ১৫৯ নং দাগের ১৮ শতক ও ২৫২ নং দাগের ১৪ শতক জমি ফেরত প্রদান করেন। একই দিনে একই খতিয়ানের একই মৌজার দাগ নং ২৫২, ২২২ ও ২৪৪ নং দাগে ২০৩৭ নং দলিলে বোনের কাছ থেকে ক্রয় করা অংশ ৩৬ শতক তিনি ও তার দুই মেয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন জামিরুল ও লিয়াকত।
পরবর্তীতে ওই জমির ২০৩৭ নং দলিলের বিপরীতে গাংনী সহকারী জজ আদালতে মিস কেস করেন রহমতুল্লাহ । যার নং ০২/১১। মামলাটি আদালতে চলাকালীণ সময়ে ওই জমির ১৮ শতক রহমতুল্লাহ তিনটি দলিলে জনৈক মহিবুল ইসলাম, গেনিফা ও শাহাদত হোসেনে কাছে বিক্রি করেন। নিয়মানুযায়ি আদালতে মামলা চলাকালীণ জমি বিক্রি আইন সিদ্ধ নয়। অথচ তিনি ওই জমির মালিক না হয়েও তা বিক্রি করেন।
এদিকে রহমতুল্লাহর মিস কেসের রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। ১৫/১১/২০২১ ইং তারিখের রায় আশরাফুল ইসলাম ওরফে আলতাফ হোসেনের পক্ষে আসে। রায়ে উল্লেখ করা হয় বাদি রহমতুল্লাহর কোন অংশ নাই।
অপর দিকে রহমতুল্লাহর কাছ থেকে অবৈধভাবে নেয়া জমির স্বত্ত্ব দাবীকারীরা জমির দখল প্রদান করছেন না। উপরন্ত থানা পুলিশের কাছে আশরাফুল ইসলাম ওরফে আলতাফ হোসেনের নামে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছেন। এর প্রতিকার ও জমি জখলে নেয়ার জন্য আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।