সাইফুর নিশাদ , নরসিংদী প্রতিনিধি : মনোহরদী পৌর শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় বাসষ্ট্যান্ড সিএনজি ও ইজিবাইকষ্ট্যান্ডের কারনে নিত্য যানজট তৈরি হচ্ছে এখানে।ফলে শহরের নাগরিক জীবনে ঘটছে নিত্য ভোগান্তি। অথচ বাইপাস রোডসহ দুটি রাস্তা বিপরীতমুখী চলাচল ব্যবস্থায় আনতে পারলেই এ সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব বলে অনেকেই মনে করছেন।
মনোহরদী পৌর শহরের নাগরিক জীবনকে দুঃসহ করে তুলেছে শহরের যত্রতত্র কয়েকটি ষ্ট্যান্ড। এর মধ্যে বাজারের পাগল নাথ আশ্রমের মোড়ে গড়ে উঠা একটি অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ড অন্যতম। যার ফলে নিত্য যানজট এখানে। কাপাসিয়া উপজেলার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের যান চলাচল এ মোড় দিয়েই। পৌর শহরে চলাচলের প্রধান সড়কও এটি। ফলে সংকীর্ন তেপথটি অতিক্রমে ভোগান্তি এখানে সীমাহীন। অথচ এ রাস্তাটিকে একটি দ্বিমুখী ব্যবস্থার আওতায় আনা যায়।এ জন্য সংলগ্ন বাইপাস রোড এবং প্রধান সড়ককে একটি পরস্পর বিপরীতমুখী চলাচল ব্যবস্থায় এনে এর সমাধান ভাবা যেতে পারে। এতে বাজার এলাকার যানজট খুব সহজেই নিরসন হতে পারে। পৌর শহরের গার্লস স্কুল মোড়ে ঢাকা-মনোহরদী রুটে চলাচলকারী সম্রাট পরিবহনের একটি বেআইনী বাসষ্ট্যান্ড এখানে দীর্ঘদিন ধরে।
এতে জনভোগান্তি ঘটে এখানে চরমভাবে। অবস্থাদৃষ্টে এ নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রায় একই চিত্র মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে। সেখানকার পুরো রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে হোন্ডা, ইজিবাইকও সিএনজি। এর ভেতর দিয়ে পথ করে চলাচল দুষ্কর। কিছুদিন আগে একটি মোবাইল কোর্ট মনোহরদী বাজারের পাগলনাথ আশ্রম মোড়ে গড়ে উঠা অবৈধ সিএনজি ষ্ট্যান্ডটি অপসারন করে। কিন্তু বিকল্প স্থানাভাবে সে পদক্ষেপ স্থায়ীত্ব লাভ করেনি। একই পদক্ষেপ গৃহীত হয় মনোহরদী বাসষ্ট্যান্ড এলাকার সিএনজি ষ্ট্যান্ড নিয়ে। সেটিরও স্থায়ীত্ব ঘটেনি দু’ চারদিনও। পৌর শহরে নিত্য যানজটে জনভোগান্তির নতুন মাত্রা যোগ ঘটে রাস্তার মাঝখানে গাড়ী থামিয়ে চাঁদা আদায় ব্যবস্থায়। এসব বিষয়ে মনোহরদী থানার ওসি আনিচুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। তিনি জানান,সিএনজি ষ্ট্যান্ড,গার্লস স্কুল মোড়ের বাসষ্ট্যান্ড সব গুলোই পৌর শহরে যানজটের কারন। পৌর মেয়রসহ স্থানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে এ ব্যাপারে একটি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে বাইপাস রোডসহ প্রধান সড়ককে একটি বিপরীতমুখী চলাচল ব্যবস্থায় আনার কথাও ভাবা যেতে পারে।