পাবনা প্রতিনিধি : প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সদস্যপদ বাতিল, অব্যবসায়ীদের সদস্যপদ দেয়া, আয়ব্যয়ের অস্বচ্ছ আর্থিক খাত, মেয়াদ শেষেও ক্ষমতায় থাকা, নিজেদের অনুসারী লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ না করেই তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দেয়াসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের পক্ষে কেএম রাসেল রহমান। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আসন্ন চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন ঘিরে ব্যক্তি চরিতার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ২১৭ জন ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করেছেন সমিতির সভাপতি কেএম বেলাল হোসেন স্বপন ও সম্পাদক আব্দুল মোত্তালিব। এছাড়াও শতাধিক ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠান বিহীন ও প্রবাসে থাকলেও ভোটার বানানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তিকেও ভোটার বানানো হয়েছে। ৩ বছর মেয়াদী এই কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও অবৈধ ভাবে তারা আরও ৩ মাস কমিটি পরিচালনা করেন।
এ সময় তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অবৈধ বলে প্রতিবাদ করায় ২০০৬ সালের শ্রম আইন লঙ্ঘন করে তারা ২১৭ জনের সদস্যপদ বাতিল করেন। সমিতির অধিকাংশ সদস্যের মতামত উপেক্ষা করে আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য নিজেদের মনোনীত লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। অস্বচ্ছ আর্থিক লেনদেনসহ অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ভোটার তালিকাও তৈরী করা হয়েছে। আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম করে এই দূর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন সাবেক এই সভাপতি ও সম্পাদক। আবেদনকারীরা চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধারে দ্রুত এই অবৈধ নির্বাচন বাতিল ও তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিআকর্ষণ করেন।
চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কেএম বেলাল হোসেন স্বপন বলেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক ঋণ খেলাপীরা ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন না। সেহেতু তাদের ভোটাধিকারের সুযোগ নেই। আর্থিক খাতে প্রতিবছর অডিট করা হয়। তাই আর্থিক অনিয়ম করার সুযোগ নেই। ওই সকল ব্যবসায়ীরা সমিতির ২৫ লক্ষ টাকা আটকে রেখে সমিতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তারাই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিদেশী ও অব্যবসায়ী সদস্যদের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তারা সমিতির চাঁদা ও সঞ্চয় পরিশোধ করেছেন। করোনায় বেশ কিছু ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা চালু করতে পারেননি। নতুন করে আবার চালু করবেন। আর বিদেশী সদস্যদের জমানো টাকা তুলে নেয়ার জন্য জানানো হয়েছে। তারা টাকা তুলে না নেয়া পর্যন্ত তাদের সদস্যপদ হরণ করার এখতিয়ার সমিতির নেই।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম বলেন, সোমবার একটি অভিযোগ এসেছে। ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সাথে আলোচনা এবং তাদের গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।