সাইফুর নিশাদ , নরসিংদী প্রতিনিধি : কুলের নাম’ বলসুন্দরী’। সবুজে লালচে দেখতে চমৎকার!সাইজেও বেশ বড়। ফলন ভালো,উৎপাদন খরচও কম। বাজারে চাহিদা আছে, মূল্যও বেশ। ফলন যা হয়েছে তাতে এবার খরচের ৫ গুন লাভের আশা মনোহরদীর এক বাগান মালিকের।
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার রায়েরপাড়া গ্রামের মাঠে ‘বল সুন্দরী’ জাতের কুলের আবাদ। গাংকুলকান্দী গ্রামের হাবিবুর রহমান মৃধা তার জমিতে সাড়ে ৩শ’ কুলের গাছ করেছেন বাগানটিতে।এবারই প্রথম ফল ধরেছে তাতে। কুলের ভারে নুয়ে পড়া গাছ। ডালপালায় বাঁশের খুঁটি দিয়েও মাটিতে লুটে পড়া রোধ করা যাচ্ছে না। লালচে সবুজে গোল গোল কুল বল সুন্দরী ভরা গাছে ডাল পাতা যেনো চোখেই পড়ে না। নাম যেমন বল সুন্দরী তেমনি রুপ লাবন্যেও সুন্দরীই বলতে হবে এ কুলকে।সবুজে লালচে ডাল ভরা থোকা থোকা কুল দেখলে হাত দিয়ে না ছুঁয়ে পাড়া যায় না। কুল পাকতে শুরু করেনি এখনো।তবু অযাচিত অতিথিদের উৎপাত শুরু বাগানে। বাগান মালিক হাবিবুর মৃধা জানান,দিনে বুলবুলি রাতে বাদুর চামচিকে হামলে পড়ছে বাগানে। আধাপাকা কুল খেয়ে ফেলে নষ্ট করছে। জরুরী ভিত্তিতে নেটের ব্যবস্থা না নিলে আর নয়। রোববার দুপুরে তার বল সুন্দরী কুল বাগানে দাঁড়িয়ে কথা হলো হাবিবুর মৃধার সাথে। তিনি জানান,মাত্র এক বছরও হয়নি বাগানের বয়স। এবারই প্রথম ফলন তাতে।
তিনি জানান, আশাতিরিক্ত ফলন হয়েছে তার বাগানে এবার। হাবিবুর মৃধার মতে, বল সুন্দরী চাষ বেশ লাভ জনক। পরিচর্যা খরচসহ সব খরচই কম।রোগ বালাইও নেই তেমন।সাড়ে ৩শ’ গাছের বাগানে সাকুল্যে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকার মতো। খরচের ৫ গুন লাভের আশা তার। বাগানটি লাখ তিনেক টাকায় বেচতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানান,
এ বাগানের বল সুন্দরী এখনো পরিপক্ক হয়নি। তা হলে বর্তমান সাইজের দ্বিগুন হবে একেকটা বলসুন্দরীর সাইজ।এ কুল চাষ বেশ লাভজনক।উৎপাদন খরচও অনেক কম।অন্য ফসলের সাথে মিশ্রভাবে এর চাষ করা গেলে আরো প্রচুর লাভবান হতে পারতেন বাগান মালিক।