সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : জীবিকার তাগিদে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নীলফামারীর ডোমারে ভাঙ্গা সেতুর উপর দিয়েই হচ্ছে পারাপার। উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের ধরনীগঞ্জ বাঁশের পুল নামক স্থানে ৮০ দশকে কলন্দর নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি, গত বৎসর নদী খননের ফলে,দুই হাজার একুশ সালের বন্যার স্রোতে ব্রীজের পিলারের মাটি সরে যায়।য়ার কারণে পিলার দেবে গিয়ে আকস্মিক ভাবে ব্রীজের ফাটলধরে।
ব্রীজটি কয়েক ইউনিয়নের মানুষের মরনফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।হোন্ডা মোটরসাইকেল অটো,ভ্যান,লোডগাড়ি,এ্যামবুলেন্স ও মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে ব্রীজের উপর দিয়ে। ব্রীজের পুর্ব দিকে হংসরাজ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক জানান আমাদের স্কুলের প্রায় চারশত ছাত্রী স্কুলে আসা যাওয়ায় মারাত্মক প্রতিবন্ধ কতা সৃষ্টি হয়।হরিহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরপ্রায় তিনশত ছাত্র ছাত্রীরা এই ব্রীজের উপর দিয়ে স্কুল যাতায়াত করে এবং যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা। তাছাড়া সপ্তাহে দুদিন সমবার ও বৃহস্পতিবার বসে সনামধন্যধরনীগঞ্জ হাট,হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই হাটে। হরিনচড়া, সোনরায়, চওড়া, লক্ষীচাপ, ধর্মপাল, সোনাহার ইউনিয়ন মানুষের চলাচলের জন্য ব্রীজটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা বহন করে।ছোট ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।
যে কোন সময় ঘটেযেতে পারে রড় রকমের দুর্ঘটনা। এলাকার স্বনামধন্য বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আজাহারুল ইসলাম রাজা, ওসামান গনী দুলাল জানান, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের হাটবাজারে মালামাল নিয়ে আসতে ভীষণ কস্ট ও কিছু পরিবহন খরচ বেরেগেছ,কারন কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে আনতে হয়। এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাক আহ্ মেদ এর সাথে কথাহলে জানান আমাদের উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। বরাদ্দ পেলেই আমারা দ্রুত কাজ শুরু করব এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদও হরিনচড়া ইউনিয়নপরিষদের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাসেল রানার সাথে এবিষয়ে কথা হলে তিনি বিডি২৪ভিউজ কে বলেন সাধারণ মানুষের দুর্দশাও দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত গতিতে সেতু নির্মান ব্যবস্থা গ্রহন করতে জেলা পরিষদ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।