রিয়াজ হোসেন লিটু, নাটোর: নাটোরের লালপুরে পদ্মার চরে মরুর দেশের খেজুর চাষ হচ্ছে। ইউটিউব দেখে বালি মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে ৩ বিঘা জমিতে এ খেজুর চাষ শুরু করেছেন শরিফুল ইসলাম (৩৫)। আশা করছেন কোটি টাকার! সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিলমাড়িয়ায় পদ্মার বুকে কাঁটাতারে ঘেরা জমিতে রসুনের সাথে বেড়ে উঠছে সৌদি আরবের খুরমা খেজুরের গাছ।
তিনি বলেন, এটি মরুভূমির গাছ, যার ফলে আমাদের এই অঞ্চলে খাপ খাওয়াতে একটু বেগ পেতে হবে। গাছের গোড়ায় একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দিতে হয়, পানি কম হলেও বাঁচবে না, আবার বেশি হলে পচে যাবে। এর সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব। নারকেল ও শুপারি গাছের নতুন রোগ হোয়াইট ফ্লাই ও শূতিমূলের আক্রমণটা বড় ভয় এ খেজুর গাছের। এ জন্য সব সময় খেয়াল রাখতে হয়। প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এর সঙ্গে রয়েছে ইঁদুরের জ্বালাতন। খেজুর গাছের শিকড় কেটে দেয়, আবার ফলও কাটে। ইঁদুরের জন্যও আমাদের সতর্ক থাকতে হয়।
সৌদি খেজুর, ভিয়েতনামী নারিকেল চাষে ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেবে ব্যাংক নতুন কেউ সৌদির খেজুর চাষ করতে চাইলে তাদের জন্য শরিফুল ইসলামের পরামর্শ, কলম এবং বিচি দুইভাবেই সৌদির খেজুরের চারা তৈরি হয়। এ বিচির চারার বেশিরভাগ পুরুষ হয়ে যায়। যার ফলে ফল আসে না। তাই নতুন যারা শুরু করবেন, তাদের কলমের (অপশুট) চারা কিনতে হবে। তবে সবচেয়ে সতর্কবানী হচ্ছে হুট করে কেউ বাণিজ্যিকভাবে খেজুর চাষে নেমে ধ্বংস হবেন না। আগে জানতে হবে।
আমিও ঠিকমতো জানিনা। কৃষি কর্মকর্তাদের সাহায্য নিয়ে আগাবো। লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকতা রফিকুল ইসলাম বলেন, সৌদি আরবের আবহাওয়া ও জলবায়ু আমাদের এখানকার থেকে পৃথক হওয়ায় সৌদি জাতের খেজুরগাছগুলো এদেশে সাধারণত হয় না। হলেও সফলতার হার কম। আমরা সুবিধা অসুবিধা দুইটার কথায় তাকে বলছি। তারপরও কৃষক যথেষ্ট আগ্রহী। তিনি সফল্যের বিষয়ে খুবই আশাবাদী সেই সাথে আমরাও আশাবাদী। আমরা তাকে সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে যাবো।