রিজাউল করিম সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের তারালী ইউনিয়নের বৈরাগীরচকে দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় ৭ একর ডিসিআর গ্রহনকৃত মৎস্য ঘেরের সম্পত্তি কতিপয় ভুমিদস্যু কর্তৃক ফিল্মি স্টাইলে দখল এবং জিনিসপত্র ও মাছসহ সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, ডিসিআর গ্রহনকারী দুই বীর মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে উক্ত মৎস্যঘেরের তত্বাবধায়ক খুলনা জেলার কয়রা থানার কালনা গ্রামের সৈয়দ আলী গাইনের পুত্র আব্দুল গফুর।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.বি.এম আব্দুস সাত্তার (গেজেট নং-১৮৬২) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসূল (গেজেট নং-১২৩২) কালিগঞ্জ উপজেলার বরেয়া মৌজায় ৬৫১ নং খতিয়ানে ৪০ দাগে ৭ একর সম্পত্তি ইং ১৯৮৭ সাল হইতে অদ্যবধি সরকারের রাজস্ব প্রদান পূর্বক ডি.সি.আর গ্রহন করিয়া সেখানে শান্তিপূর্ন ভাবে মাছের ঘের করে আসছেন। বর্তমান বছরেও ডি.সি.আর গ্রহন করিয়াছেন যার মেয়াদ এখনও বলবৎ রয়েছে। ডি.সি.আর গ্রহীতা কে.বি.এম আব্দুস সাত্তার শারিরীক ভাবে অুসস্থ থাকায় ঢাকায় চিকিৎসাধীণ থাকা বস্থায় গত ১৪ জানুয়ারী ২০২২ তারিখে রাত্র ৩ টার সময় ভুমিদস্যুরা কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের কাশিবাটি গ্রামের রমজান মীর, একই গ্রামের সালাম ও সাদিকুল মোড়ল, ভাঙানমারী গ্রামের আনার (চোর) ইন্দ্রনগর গ্রামের রফিকুল ওরফে বিল্লাহ, শহিদুল, আবুল ও ওলিউর রহমান, আব্বাজের হাটখোলা গ্রামের কালাম, রহিমপুর গ্রামের আব্দুল্লাহসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন ভূমিদস্যু উক্ত দখলীয় সম্পত্তিতে প্রবেশ করে। এরপর তারা আমাকে মারপিট করে বেঁধে রাখে।
এ সময় উক্ত ভুমিদস্যুরা আমাদের ডিসিআর মূলে দখলকৃত ঘেরের মূলবাসা ঘর, আসবাবপত্র ভাংচুর, মাছলুট ও নগদ ৫৫ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ডাকাতিসহ ক্ষতিসাধন করে। তারা এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে আমাকে খুন, জখমসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। ইতিপূর্বেও তারা অনুরুপকার্য করায় কালিগঞ্জ থানায় গতবছরের ৩ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে ১০৪ নং সাধারণ ডাইরী করা হয়েছিল। ডি.সি.আর গ্রহীতা কে.বি.এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসে উক্ত ভুমিদস্যুদের কর্তৃক ক্ষয়ক্ষতি দেখে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ কালিগঞ্জ থানায় জানালে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে ক্ষয়ক্ষতি দেখে আসেন এবং বিষয়টির সত্যতা নিরুপন করেন। এছাড়া উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন মামলা বিদ্যমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ডিসিআর গ্রহীতাগণ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বাংলাদেশ সরকারের নিকট হতে ডি.সি.আর নিয়ে বহু অর্থ বিনিয়োগ করে মৎস্য ঘেরটি শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় উক্ত ভুমিদস্যুদের কর্তৃক ক্ষয়ক্ষতি এবং জীবননাশের হুমকীর কারনে আমিসহ ডিসিআর গ্রহীতাগণ ভীতসন্ত্রস্থ অবস্থায় দিনাতি পাত করিতেছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় উক্ত ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ ডিসিআর গ্রহীতা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে উক্ত সম্পত্তি দখলে থাকতে পারেন তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।