নিজস্ব প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডায় কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে স্থানীয় প্রায় ৪০ টি ইটভাটায়। এতে শত শত বিঘা ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিন ঐ এক ইউনিয়ন থেকে শত শত গাড়ি মাটি কাটা হচ্ছে। ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি /সেক্রেটারির পাশাপাশি এর সাথে জড়িত রয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালী স্থানীয় নেতারা।
ইটভাটার মালিকরা কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে এসব কৃষি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের নবীনগর, দাদাপুর, বিলকেদার, কামালপুর এলাকায় ভেকু মেশিনের মাধ্যমে ফসলি জমির মাটি কেটে তা ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দাদাপুর এলাকার (এইচডিএস) ইটভাটার মালিক হায়দার আলী বিডি২৪ভিউজ কে বলেন, ভাটা বৈধ কি অবৈধ তা প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেখবেন। পরিবেশের ক্ষতি হলে তা পরিবেশ অধিদপ্তর দেখবে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ব্যবসা করছি তাহলে বুঝতে হবে সব জায়গায় যোগাযোগ রেখেই ভাটা চালু করেছি।
এ ব্যাপারে বিলকেদার গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী কামাল ও আরিফ ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী কৃষি জমির মাটি কেটে নিচ্ছেন, আগে তাদের বন্ধ করতে বলেন তারপরই আমরা বন্ধ করব। গভীর করে মাটি কেটে নেওয়ায় পাশের ফসলি জমির ক্ষতির কথাও স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিএম ইমরুল কায়েসের সাক্ষাৎকার নিতে তার অফিসে গেলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে তার ব্যাক্তিগত দেহরক্ষী এক আনসার সদস্য জানান, ভাটা বা বালুমহল সম্পর্কিত কোনো সাক্ষাৎকার দেওয়ার এখতিয়ার স্যারের নেই বলে (ইউএনও) স্যার জানিয়েছেন।
পাবনা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন বলেন ঈশ্বরদীর অধিকাংশ ভটিার পরিবেশের ঝাড়পত্র নাই , কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ্য আমরা জনবলের অভাবে সব সময় অভিযান চালাতে পারি না । তবে আপনাদের কাছ থেকে বিষয়টা জানলাম আমরা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো ।
উল্লেখ্য, গত বছর এসব মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযান চললেও অদৃশ্য কারনে এবার তা বন্ধ রয়েছে। সচেতন ঈশ্বরদীবাসী পরিবেশ ও কৃষি জমি রক্ষায় দ্রুত কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান ।