সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী : প্রতিনিধিঃশুনতে যদিও আচমকা লাগে তবুও কিন্তু বাস্তব,নীলফামারীতে ধুমধাম ভাবেই হয়েগেল বট ও পাখর গাছের বিয়ে।
শানাইয়ের সুর,আর ঢোলের বাঝনা,পুরোহিত মাশাইয়ের মন্ত্রে হলুদ মেখে,বটেশ্বরী গাছ মেয়ে পক্ষে ধীরেন্দ্র নাথ রায়,পাখর ছেলে পক্ষে বাসন্তী রানী,অভিভাবক হয়ে অগনিত মানুষের উপস্থিতিতে ধুমধাম ভাবে হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠিত হলো গাছের বিয়ে।বিয়ের আয়োজনে এতটুকু ছিলনা কমতি। চলছে আত্মীয়দের আপ্যায়ন,অন্যদিকে চলছে রান্নার কাজ, চাইলন বাতি নিয়ে বৈরাতী গাইছে নানান সুরের গান।যেন আনন্দের ডামাডোল,দুই জানুয়ারী বুধবার নীলফামারীর সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নে তরনিবাড়ী গ্রামের,প্রায় পনের বৎসর পূর্বে মৃত স্বামী মুকুল চন্দ্র রায় এর কোন সন্তান না থাকায় স্বামীর ওয়াদার কথা পুরন করলেন স্ত্রী বাসন্তী রানী।
ব্যপক আনন্দ ঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো বট ও পাখর গাছের বিয়ে।গাছের বিয়ে ঘিরে এলাকার মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে চমকপ্রদ উৎসাহ উদ্দীপনা। হিন্দুধর্মের পুরোহিত দর্পন শাস্ত্র বই ১৩২৫ পৃষ্ঠায় লেখা আছে বৃক্ষ প্রতিষ্ঠার ফল,কেন মাঝে মাঝেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গাছের বিয়ে দিয়ে আসছে। পুরোহিত শুনীল চন্দ্র চ্যাটারর্জী ওচন্দন চন্দ্র চ্যাটারর্জী জানান বিবাহিত জীবনে কারো সন্তান আদি নাথাকে তাহলে বটেশ্বরী ও পাখড় গাছে একই স্থানে বিয়ে দিলে সেই দম্পতির বিষ্ণু লোক প্রাপ্তি হয়।আর সেই দম্পত্তির পরজন্ম হয়না। একারনেই গাছের বিয়ে দিয়ে থাকে হিন্দু (সনাতন )সম্প্রদায়।এলাকায় বটেশ্বরী ও পাখড় গাছের বিয়ে দেখতে আসা
আত্মীয় সরকারি নার্স স্বপ্নারানী, একই গ্রামের মেম্বার শুনিল চন্দ্র রায় জানান আমাদের হিন্দু শাস্ত্রেই গাছের বিয়ে দেয়ার বিধান আছে।