যশোর প্রতিনিধি : আবারও ভৈরব নদে কার্গোজাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। নাব্যতা সংকটে নৌযান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এবার অভয়নগরে ৬৮০ মেট্রিক টন ইউরিয়ার সার বোঝাই ‘এমভি শারিব বাঁধন’ নামে একটি কার্গোজাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পীরবাড়ী ঘাট সংলগ্ন ভৈরব নদে জাহাজটি ডুবে যায়।
জাহাজের মাস্টার, সুকানি, লস্করসহ আটজন সাঁতরে জীবন রক্ষা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নদীপথে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ডুবে যাওয়া সারের মূল্য আনুমানিক ৯০ লাখ টাকা। এমভি শারিব বাধন জাহাজের মাস্টার সজীব জানান, গত ২১ জানুয়ারি চট্রগ্রাম বন্দর থেকে ৬৮০ মেট্রিক টন ইউরিয়ার সার নিয়ে যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া নৌবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। ২৫ জানুয়ারি নওয়াপাড়া নৌবন্দরে পৌঁছে বেঙ্গল ঘাটে জাহাজ নোঙ্গর করি। বুধবার ২ ফেব্রুয়ারি পীরবাড়ী ঘাটে সার আনলোড করার জন্য নোঙ্গর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে জাহাজের তলদেশ ফেটে হ্যাজে পানি ঢুকতে শুরু করে। কয়েক ঘন্টার মধ্যে জাহাজ ডুবে যায়। আমরা সকলে সাঁতরে জীবন রক্ষা করেছি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ক্যারিং কন্ট্রাক্টর মেসার্স সঞ্জয় ট্রেডিংয়ের মালিক সঞ্জয় কুমার জানান, টোটাল শিপিং এর ৬৮০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নওয়াপাড়ায় পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে এমভি শারিব বাঁধন’ নামে সার বোঝাই জাহাজ ডুবে যায়। যার মূল্য আনুমানিক ৯০ লাখ টাকা। নদী দখলের কারণ ও নব্যতা হ্রাস পাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া নৌপুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. আসাদুজ্জামান জানান, সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ জাহাজের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে ভৈরব নদে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে খুলনা নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আশরাফ হোসেন রয়েছেন। ত্রুটিপূর্ণ জাহাজের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উদ্ধার অভিযান প্রক্রিয়াধীন। খুলনা নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আশরাফ হোসেন মুঠোফোনে জানান, নৌযান চলাচল স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।