চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামে ইয়ামিন হোসেন নামে ১০ বছরের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ইয়ামিন হোসেনের পিতার নাম সেলিম হোসেন ৷ সে কানাইডাঙ্গা বৃত্তিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র ছিলো । বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মায়ের সাথে নানার বাড়ি কানাইডাঙ্গা থাকতো ইয়ামিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে বাড়ির পাশে খেলা করছিলো ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমনসহ বন্ধুরা। এসময় আশাদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান ৩০টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায়। মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট থাকা ১০টাকা খরচ করে ফেলে ইয়ামিন। পরে জাহিদ বাকী টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেধে মারধর করে। এসময় ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন পালিয়ে এসে বাড়িতে ঘটনা জানালে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির পাশে আম বাগানে ইয়ামিনের গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক (প্রশাসন) জানান, নিহত ইয়ামিনের গলায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঝাল – মুড়ি কেনা নিয়ে জাহিদ নামে একটি ছেলে রাগের বসবতি হয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে । হত্যায় ব্যবহৃত রক্তাক্ত হেসোয়াটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।