মেহেদী হাসান আকন্দ: নেত্রকোণায় স্ত্রী হত্যা মামলার রায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে জনাকীর্ন আদালতে আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: শাহজাহান কবীর।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মিলন মিয়া জেলার বারহাট্টা উপজেলার বৃ-কালিকা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মিলন মিয়া নরসিংদীতে টিভি ফ্রিজের দোকানের কর্মচারী থাকাকালীন সময়ে নরনিংদৗ জেলার শিবপুর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের ভিকটিম নাসরিন আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারী তাদের বিয়ে হয়। নাসরিনকে বিয়ের আগে মিলনের আরেকটি স্ত্রী ছিল। বিয়ের পর স্বামী মিলন মিয়া জানতে পারে স্ত্রী নাসরিন আক্তার দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকে। ক্রমেই তাদের সম্পর্কের অবনতি দেখা দেয়।
২০১৭ সালের ১৯ আগষ্ট রাতে আসামী মিলন মিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নেত্রকোণা পৌর শহরের হোসেনপুর এলাকার জনৈক মঞ্জুরুল হকের ধান ক্ষেতের পার্শ্বে ভিকটিম নাসরিন আক্তারকে বুকে ছুরিকাঘাত করে। আসামী মিলন মিয়া ভিকটিম নাসরিনের গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ২০১৭ সালের ২০ আগষ্ট নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ নাসরিন আক্তারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নেত্রকোণা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সোলায়মান হক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বৃ-কালিকা গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে মিলন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে দেয়া জবানবন্দি ও ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মোঃ মিলন মিয়ার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, এডভোকেট এফতেখার উদ্দিন তালুকদার মাসুদ (পিপি) এবং আসামীপক্ষে ছিলেন, এডভোকেট মো: নুরুল কবীর রুবেল। দ্রুত সময়ে মামলাটি নিস্পত্তি হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তষ্টি প্রকাশ করেন।