পাবনা প্রতিনিধি : আসন্ন ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাবনা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পাবনার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজি উদ্দিন খানের কন্যা বর্তমান পাবনা জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের কার্যকারি সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠির কার্যকারি সদস্য তাওহিদা তানমান খান স্বাতী। তাওহিদা তানমান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এর সাবেক সভাপতি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজি উদ্দিন খানের সুযোগ্য কন্যা। ওয়াজি উদ্দিন খান ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি নির্বাচিত হয়ে তিনি আমৃত্যু এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। পাবনা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের আজীবন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘ ২৫ বছর। ১৯৮৬ ও ১৯৯৬ সালে ওয়াজি উদ্দিন খান পাবনা-৩ আসনে দুইবার জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা পদে প্রার্থী তাওহিদা তানমান খান বলেন, আমি পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ এর সাবেক সফল সভাপতি (১৯৭৯-২০০৫) প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জননেতা ওয়াজি উদ্দিন খানের কন্যা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ এর ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল এ মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা পদে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, আমার পিতা আমার আদর্শিক শক্তি, মরহুম পিতার আদর্শিক রাজনীতি ধারন করে আমি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে কাজ করতে চাই।
তিনি জানান, সততার এক মূর্তপ্রতিক যার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ওয়াজি উদ্দিন খান। তিনি তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে আমৃত্যু মুজিব আদর্শের চেতনায় অবিচল ছিলেন। তিনি তার নীতিআদর্শে আপোসহীন একজন মাটি ও মানুষের সেবক ছিলেন, যিনি দল এবং জননেত্রীর সিদ্ধান্তে অটল থেকে জনগণের কল্যাণে নিরলস পরিশ্রম করে জনকল্যাণকর কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি চলে গেলেও রেখে গেছেন তার সততা, নিষ্ঠা, অসীম সাহস, ধৈর্য মনবল ও মানুষের জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা। আমৃত্যু নীতি আদর্শের দিক থেকে অবিচল থাকা একজন মানুষ। তার নৈতিক আদর্শের শিক্ষা দায়িত্ববোধ ও দায়িত্বভার। আজ আমার সত্যি গর্বে বুকটা ভরে যায় যখন দেখি সর্বস্তরের মানুষ আজও আমার আদর্শিক পিতাকে পরম শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় হৃদয়ে সৃজন করে তাঁর মহৎকর্ম গুলো তারা স্মরণ করে। ওয়াজি উদ্দিন খানের স্মরণে সততা ও আদর্শের উদাহরণ দেয়। যারা সত্যিকার অর্থে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজি উদ্দিন খান কে জেনেছে বুঝেছে তাঁর জীবন সম্পর্কে যারা প্রকৃত ইতিহাস জানে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনকে যারা আজও স্মরনীয় বরণীয় করে রেখেছে, সেই সকল মহৎকর্ম প্রাণ সাধারণ মানুষের মাঝে ওয়াজি উদ্দিন খান চিরঅমর চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি জানান, কীর্তিমানের কখনো মৃত্যু হয়না।
তারা তাদের নির্মোহ নিঃস্বার্থ মহৎকর্ম দিয়ে পৃথিবীকে চিরকালের জন্য ঋনী করে চিরবিদায় নেন। তাওহিদা তানমান খান বলেন, আমি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কিছুই চাইনা, শুধু আমার মরহুম পিতার প্রতি আদর্শিক শ্রদ্ধা সরূপ তাঁর রেখে যাওয়া সততা আদর্শের পথে চলতে চাই, নিপিড়ীত অসহায় মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে যেতে চাই। পিতার মতো লোভ লালসাহীন, নির্মোহ অসীম ধৈর্য, মনবল, সৎসাহস, শক্তি আত্মবিশ্বাস কখনো হার না মানা মুজিব আদর্শের চেতনায় সংগ্রামী সে পথে আমি বিরামহীনভাবে হাঁটতে চাই। পিতার মতো নিঃস্বার্থ ভাবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সততা এবং আদর্শ বুকে ধারণ করে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত শক্তিসঞ্চয় করি। আমার পিতা আমার আদর্শিক শক্তি। তিনি জানান, আমার মরহুম পিতার দোয়া সবসময় বটবৃক্ষের মতো আমাকে আগলে রাখে। এছাড়াও আমি মরহুম পিতার ত্যাগ আদর্শকে লালন করে তাঁর মহৎকাজকে সৃজন করতে চাই। একজন সৎ আদর্শবান বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবার সন্তান হয়ে শ্রদ্ধা আদর্শের নৈতিক শিক্ষায় এই পৃথিবীতে আমি যতদিন বাঁচবো ততোদিন নির্মোহ সংগ্রাম করে যাবো ইনশাআল্লাহ। তাওহিদা তানমান খান বলেন, সবাই আমার সর্বজন শ্রদ্ধেয় বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কিংবদন্তি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জননেতা মরহুম ওয়াজি উদ্দিন খান এর জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেনো তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করে। পিতার সততা ও আদর্শের রাজনীতিকে ধারণ ও লালন করে, মাটি ও মানুষের কল্যাণে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মুজিব আদর্শের চেতনায় কাজ করে যাওয়াই তার রাজনীতিতে আসার মূল উদ্দেশ্য, ব্রত বলে তিনি জানান।