স্টাফ রিপোর্টার : ঈশ্বরদীতে একটি জুয়ার আসরে চাদা দাবী করায় দুপক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। এতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তিলকপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ সরদারের ছেলে শাহিন রানা মাসুম সরদারের মার্কেটে চাঁদা দাবি করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছন মার্কেট মালিক শহিন রানা মাসুম। তিনি জানান, তিলকপুরে মোড়ে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত সরদার মার্কেটের মালিক তিনি। ব্যবসার সুবাদে মাঝে মাঝে ঢাকায় যাতায়াত করতে হয় থাকে। তার অনুপস্থিতিতে তিলকপুর গ্রামের ইয়ারুল ফয়াজী নামের এক ব্যাক্তি ঐসব প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা দাবী করেন।
শনিবার চাঁদা না দেওয়ায় কয়েকজন দোকানদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ইয়ারুল। ঘটনা শুনে মার্কেট মালিক শাহিন রানা মাসুম এগিয়ে আসলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয় ইয়ারুলের। পরে শাহিন রানা তার মার্কেটের মুল গেটের ভেতরে নিয়ে ইয়ারুল ফয়াজী কে মারপিট করেন। এসময় ইয়ারুলের ভাই সুজন ও শাহিন রানার পিতা সোনাউল্লাহ এগিয়ে আসলে তাদের মধ্যেও হাতাহাতি হয়।
তবে ঘটনার উল্টো ব্যাখা দিয়েছেন ইয়ারুল ফয়াজী। চাঁদা দাবীর কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, শাহিন রানার মার্কেটে রাত হলেই নিয়মিত জুয়া খেলা হয়। প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার জুয়ার বোর্ড থেকে শাহিন রানা ঘর ভাড়া বাবদ ২ হাজার ও মহাবুল মেম্বর ১ হাজার টাকা করে নেন।
আমি সাংবাদিকদের এসব তথ্য দিয়েছি এমন ভ্রান্ত ধারনা থেকে শহিন আমাকে মারধর করেছে।
তবে জুয়ার খেলানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শাহিন রানা, তিনি বলেন আমার জানা মতে আমার মার্কেটে কোনো জুয়া খেলানো হয় না। তবে আমি নিয়মিত এখানে থাকি না। আমার মার্কেটের দোকানদার ভুলু সহ কয়েকজন সময় কাটানোর জন্য হয়তো মাঝে মাঝে খেলতে পারে। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, উভয় পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার সময় মহাবুল মেম্বারের পথ আটকে ইয়ারুল ফয়াজী তাকে মারধরের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন মহাবুল ইসলাম। ঘটনার পরপরই পাল্টা আক্রমনের প্রস্তুতি হিসেবে তিকলপুর মোড়ে বিভিন্ন অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায় প্রতিপক্ষদের। ঘটনার খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।সপ্তাহব্যাপী ঘটে যাওয়া এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিলকপুর গ্রামে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।