মেহেদী হাসান আকন্দ : নেত্রকোনা পুলিশ লাইনস্ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত এ এস আই জহিরুল ইসলাম (৪৬) গ্রামের বাড়ি থেকে বেড়াতে আসা ভাতিজা মোহাম্মদ ইনছান উদ্দিন (৩০) ও সুমন মাহমুদ (২৩) কে সাথে নিয়ে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী এলাকার পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো।
বুধবার বিকেলে ভাতিজাদের সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে কলমাকান্দা উপজেলার সাত শহীদের মাজার এলাকার পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ শেষে বিকাল ৪টার দিকে কলমাকান্দা-লেঙ্গুড়া সড়কের ফুলবাড়িয়া এলাকায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এ এস আই জহিরুল ইসলাম ও ভাতিজা মোহাম্মদ ইনছান উদ্দিন নিহত হয়। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের অপর আরোহী সুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আহত সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
দুর্ঘটনায় নিহত এ এস আই জহিরুল ইসলাম ও ইনছান উদ্দিনকে কলমাকান্দা থানা পুলিশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা পুলিশ লাইনস্ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে প্রেরণ করেন।
পুলিশ লাইনস্ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে নামাজে জানাজা শেষে নেত্রকোনা পুলিশ লাইনস্ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ও উপ-কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোঃ রোকনুজ্জামান বৃহস্পতিবার সকালে স্বজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।
নিহত জহিরুল ইসলাম শেরপুরের নকলা উপজেলার পোলাবেশ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল উদ্দিনের ছেলে এবং স্বাধীন ও সৈকত নামের নবম শ্রেণির পড়ুয়া জমজ সন্তানের বাবা।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতদের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নেত্রকোণা পুলিশ লাইনস্ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত এ এস আই জহিরুল ইসলাম এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার নেত্রকোণার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) জান্নাত আফরোজ। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।