যশোর প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ বাওড় কোন ভাবেই অবৈধ দখলমুক্ত হচ্ছেনা। নানা জটিলতা ও প্রভাবশালী মহলের প্রভাবে সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষিত হচ্ছে। যে কারণে অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে দিনব্যাপী আকস্মিকভাবে অভিযান চালিয়েছে অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন।
অভয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. তানজিলা আখতারের নেতৃত্বে অভিযানে সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম, প্রেমবাগ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন, চাঁপাতলা ক্যাম্প ইনচার্জ মোস্তফাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ভূমি কালেকশন হিসেবে প্রায় ১শ’ ১০ একর বিশিষ্ট প্রেমবাগ বাওড়ের অবৈধভাবে দখলকৃত জলাশয় থেকে বিভিন্ন প্রজাতীর ২ হাজার ৬শ’ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রেমবাগ গ্রামের সৈয়দ বিল্লাল হোসেন, সৈয়দ সামছুল আলম (বাবলা), সৈয়দ শাহাবুদ্দিন হোসেন, সৈয়দ কামরুল আলম, শেখ তবিবর রহমান, আজাদ মিনে, মহসীন, আ: মান্নান ও রানা বাওড়ের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ এবং সদর উপজেলাধীন বসুন্দিয়ার সদুল্যাপুর গ্রামের তুহিন খান বাওড়ের কিছু অংশ দীর্ঘদিন যাবত মাছ চাষ করে আসছিলেন। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বাওড়টি দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে মৌখিকভাবে বারবার তাগাদা দিলেও তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার প্রতি কোন গুরুত্বারোপ করেননি। অবশেষে সরকারি নিয়ামানুযায়ী আকস্মিকভাবে এই ভূমি কালেকশনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. তানজিলা আখতার জানান, যশোর জেলা প্রশাসনের আদেশ মোতাবেক খাস কালেকশনে গিয়ে অবৈধ দখলে নেয়া সরকারি বাওড়ের মাছ জব্দের পর তা বাজারে নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। মাছ বিক্রিত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দীন জানান, প্রেমবাগ বাওড়টি ইজারা দেয়ার জন্য খোলা টেন্ডার আহবান করা হয়, কিন্তু কেউ টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেনি বা ইজারা গ্রহণ করেনি। যে কারণে এটি আবারও টেন্ডার আহবান করা হবে।
টেন্ডার আহবান করার আগে সরকারী সম্পত্তির সম্পদ কালেকশন করা হয়েছে। এবং এখানে খাস কালেকশনে যে পরিমাণ মাছ পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ম মাফিক বাজারে বিক্রি করে যে অর্থ আসবে তা সরকারী কোষাগারে জমা করা হবে