পাবনা প্রতিনিধি : সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাশীনতা আর অনৈতিক লেনদেনের কারণেই পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া বাজারসহ পাবনার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করার ফলে পথচারীদের চলাচল আর যানজট নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। টেবুনিয়া বাজার এলাকায় সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার কোন স্ট্যান্ড না থাকায় তারা পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের টেবুনিয়া বাজারে তিনমাথা এলাকায় রাস্তার বামপাশে, ডানপাশে এবং চাটমোহর সড়কে উভয়পাশে যানবাহনগুলো স্ট্যান্ড করে রেখে রাস্তার মাঝখানে স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী উঠানো ও নামানোসহ সাবর্ভক্ষণিক অবস্থান করছে। এছাড়াও প্রতিদিন মাছ, মাংশ, তরিতরকারী, আম, কলা, আখ, আনারস, দুধসহ নানা পণ্য রাস্তার উপর বসে কেনাচেনা করছে। উপরোক্ত দ্রব্যাদি ছাড়াও বাজারের দুপাশে আপেল, কমলা, আঙ্গর, বেদেনার দোকানদারদের অনেকেই নিজ নিজ দোকানের সীমানার সামনে ৭/৮ ফিট করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তার জায়গা দখল করে মালামাল সাজিয়ে ব্যবসা করছে। এছাড়া পাবনায় ইছামতি ব্রিজ পার হয়েই রাস্তার দুইপাশে মহাসড়ক দখল করে তৈরি হয়েছে সিএনজি স্ট্যান্ড।
ফলে রাস্তার প্রায় তিনভাগের একভাগ ঐসব ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। এতে করে উক্ত এলাকায় যানবাহন ও জনচলাচলে দারুন ভাবে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। অবস্থার দৃষ্টে মনে হয়, এসব দেখার কেউ নেই। এলাকার সুধীবৃন্দের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তারা জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন দেড়-দুইবছর পর একদিন এসে রাস্তায় বাস দোকানপার্ট উচ্ছেদ করলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে তারা আবাবর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। স্থানীয়রা বলেন, টেবুনিয়া হাটের ভিতরে অনেক জায়গা রয়েছে। তারা ইচ্ছে করলেই ভিতরে বসতে পারে। স্থানীয়দের দাবী, বাজারের যানজট নিরশন ও পথচারীদের চলাচলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি মাসে অন্তত একবার অভিযান চালালে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় বলে অভিমত দেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শামসুজ্জোহা বলেন, জনবল সংকটের কারণে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে অভিবযান অব্যাহত আছে। অনৈতিক লৈনদেনের বিষয়ে তিনি বলেন, সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।