মাহফুজ আলম, স্টাফ রিপোর্টার : রাঙামাটি কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটির লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট এলাকায় এম ই এস এর তত্ত্বাবধানে কন্ট্রাক্টরের অধীনে বৈদ্যুতিক মেরামত কাজ চলাকালীন সময়ে ইলেকট্রিশিয়ান মোঃ লিটন উদ্দিন (২৮) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার সংবাদ পাওয়ার গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ ঘটিকার সময় কাপ্তাই নৌ বাহিনী পিকনিক স্পট এলাকায়।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মোঃ জয়নাল আবেদীন ( ৩৩) জানান বৃহস্পতিবার(০৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩ টায় সময় শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটির পিকনিক স্পটে ৪৪০ ভোল্টেজের বিদ্যুৎতের তার মেরামত ও নতুন লাইন সংযোগ স্থাপনের কাজ করা সময় মোঃ লিটন উদ্দিন (২৮)তিনি বৈদ্যুতিক খুঁটির উপরে উঠে কাজ করছিল এক পর্যায়ের খুটির উপরে কোমরে সেইফটি বেল পরাঅস্থায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়। তৎক্ষনাৎ নৌ বাহিনীকে দুর্ঘটনার সংবাদ দিলে নৌবাহিনীর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে তখন তাহাদের সহযোগিতা বিদ্যুৎ খুঁটি হতে লিটন উদ্দিনকে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা জন্য নৌবাহিনীর হাসপাতালে নিয়ে যায় এর পরে উন্নত চিকিৎসা জন্য নৌবাহিনীর এম্বুলেন্স যোগে রাতে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল জুরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে পরিক্ষা নিরীক্ষা করার পরে আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঠিকাদার শ্রমিক ইলেকট্রিশিয়ান মোঃ লিটন উদ্দিন কে মৃত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কাপ্তাই থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে এস আই ফারুক আহমেদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে লাশের সুরত হাল নেওয়া শেষে লাশটি ঐ রাতেই হাসপাতাল থেকে কাপ্তাই থানায় নিয়ে আসা হয়।
কাপ্তাই থানার ওসি তদন্ত ও বর্তমান দায়িত্বে কাপ্তাই থানা অফিসার ইনচার্জ, মোহাম্মদ আকতার হোসেন জানান, মৃত মোহাম্মদ লিটন উদ্দিন আব্দুল মালেকের ছেলে, তাদের দেশের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায়।মোহাম্মদ লিটন উদ্দিন এবং তাদের সহকর্মীরা গত ১৯(২ ফেব্রুয়ারি) থেকে কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটির লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট এলাকায় বৈদ্যুতিক নতুন লাইন স্থাপনে কাজ করে আসছিলেন। কাজের ১৩ দিনের মাথায় ৩ মার্চ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় কাপ্তাই থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে, মামলা নাম্বার – ১/ তারিখ ৩/৩/২০২২ ইং। তিনি আরো বলেন ৪ মার্চ শুক্রবার মৃত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কাপ্তাই থানা থেকে রাঙামাটি জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।