রিজাউল করিম সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষিকাসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৯ জন। শনিবার দুপুরে সাতক্ষী-যশোর মহাসড়কের তুজুলপুর ও সকালে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়ায় উক্ত দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রইচপুর গ্রামের মৃত. মাজেদ মোড়লের ছেলে ফারুক হোসেন বাবু (৪৫) ও শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বড়কুপট গ্রামের দেবনাথ রপ্তানের স্ত্রী ও সোয়ালিয়া সরকরারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রিতা রানী (৪৫)
আহত হয়েছেন, রইচপুর গ্রামর মোকলেছুর রহমান (৩২), ইজ্ঞিনভ্যান চালক ছলেমান (৩৫), সুপারিঘাটা গ্রামের কার্ত্তিক দাস (৩৩), বাঙালের মোড়ের ইসলাম (৫৫)সহ ৯ জন।
স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে ছেড়ে আসা স্বপ্নীল পরিবহন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুপুর এক টার দিকে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের সদর উপজেলার তুজুলপুর এলাকায় উক্ত পরিবহনের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিনভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় পরিবহনটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লাগে এবং ইঞ্জিনভ্যানটি রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে। এতে ইঞ্জিনভ্যানের যাত্রী ফারুক হোসেনসহ পরিবহন ও ইঞ্জিভ্যানের মোট ১০ যাত্রী গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ফারুক হেসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত ঘোষনা করেন। আহত ৯ জনের মধ্যে তিন যাত্রীর পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহতদের সদর হাসাপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, এর আগে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন রিতা রানী। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রিতা রানীকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতত ঘোষণা করেন। পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যুতে তাদের স্ব স্ব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবীর ও শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদ মোর্শেদ এ দুটি ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহতদের সদর হাসাপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।