মাহফুজ আলম, স্টাফ রিপোর্টার : রবিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে বান্দরবান শহরের কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার জেরিন আখতার। তিনি জানান, শনিবার বিকেল চারটার দিকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এখনো পর্যন্ত লাশ চারটি শঙ্খ নদীর পাশে পড়ে আছে। লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশের একটি দলে সেখানে গেছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জেরিন আখতার। পাশাপাশি স্হানীয় সুত্রে জানা যায় জানা গেছে, জিএসএস ও মগবাহিনীর মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সুপার জেরিন আখতার ব্রিফিংয়ে বলেন, এখানে যে খুনগুলো ঘটছে এর সঙ্গে সাধারণ আইন-শৃঙ্খলার বিষয়কে না মিলিয়ে আলাদাভাবে দেখতে হবে। সমতলের সঙ্গে পাহাড়ের ঘটনা মেলানো যাবে না। পুলিশ সুপার বলেন, এখানে বেশ কয়েকটি সংগঠন সক্রিয় আছে। তাদের নিজেদের মধ্যে সমস্যা আছে। এটা সাধারণ মানুষের সমস্যা না।
রোয়াংছড়ি ও রুমা সীমান্তবর্তী মোংবাইপাড়া এলাকার গভীর জঙ্গলে মরদেহগুলো দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়।অপরদিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইউপিডিএফ (প্রসীত) দলের চাঁদা কালেক্টর সুখময় চাকমা ওরফে মানস চাকমা কে আটক করা হয়েছে। জানা যায় ৬ মার্চ রবিবার সকালে দুইটিলা আর্মি ক্যাম্প হতে ৫ কিলোমিটার উত্তর ৯ কিঃমিঃ পাড়া নামক এলাকা থেকে ফুলঝাড়ু ব্যবসায়ীর নিকট চাঁদা আদায়ের সময় সুকময় চাকমা (মানস) (৫২), পিতা- কালাচাঁদ চাকমা, গ্রাম- কেদারাছড়া, পোস্ট- মারিশ্যা, থানা- বাঘাইছড়ি, জেলা- রাঙামাটি কে আটক করা হয়।
আটককৃতকে বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে আনার পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত ব্যক্তি ইউপিডিএফ (মূল) এর সাজেক মাসালং এলাকার চীফ কালেক্টর এবং তিনি সাজেক থানায় গত ১৫ মার্চ ২০১৫ইং তারিখ ইউপিডিএফ (মূল) কর্তৃক বাবুছড়া অভিমুখে পদযাত্রা চলাকালীন সময় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলার অন্যতম প্রধান আসামি।
পরবর্তীতে তাকে বাঘাইছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার কাছ থেকে বাটন মোবাইল ০২টি, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই ০১টি ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। ইউপিডিএফ সাজেক থানার সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা বলেন, মানস চাকমা গত একবছর আগে দলের কাজ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন এখন তার সাথে ইউপিডিএফ এর কোন সম্পৃক্ততা নেই। বাঘাইছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকালে সেনাবাহিনী আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। এখন মামলার প্রস্তুতি চলছে