মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে সরকারী কলেজের বিপরীত গলির রাস্তাটি সামান্য বৃষ্টি হলেই ঔ দুপাশে ৩০ টি পরিবারের মানুষ পানিবন্দী হয়ে যায়। রাস্তাসহ ভিতরে পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। প্রায় হাটু পানি বাড়ির আঙ্গিনায়। মেয়র বললেন আগামীতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করবো তাহলে এ সমস্য স্থায়ী সমাধান হবে। জানাগেছে, মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম এর বাড়ির দক্ষিন দিকে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবী এ সমস্যা মেয়র সাহেব ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর কাছে জানিয়েছি। মেয়র সাহেব অনেকদিন আগে এই জলাবদ্ধতা দেখে গেছেন কিন্তু আমরা এখন ও এর সমাধান পায়নি । পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি। এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম জানান আমরা মেয়র মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি আমাদের এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করার জন্য। তিনি আর ও বলেন, কলেজ মোড় থেকে মাত্র ১০০ থেকে দেড়শ ফিট ড্রেন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাব।
জলাবদ্ধতার কারনে আমাদের সন্তানরা প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা। আবার বের হলেও বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। মেহেরপুর সরকারী বালক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা প্রায় ৩০ টি পরিবার জলাবদ্ধতার মধ্যে ব্যাপক সমস্যায় আছি বাড়ির গেট পর্যন্ত পানি। একই কথা জানালেন সোনালী ব্যাংকের অবসর কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন। এখানে সরকারী বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক , মুকুল, মাছুরা শহীদ, কবিরুল ইসলামসহ প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসবাস। মেয়রের প্রতি বাসিন্দাদের দাবী মেহেরপুরের তাদের এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করার। এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। ঐ এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বাড়ির মালিকগন পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি। আমরা টেন্ডারে দিয়েছি আগামী টেন্ডারে ঐ এলাকার ড্রেন হবে। আর সাময়িকভাবে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা হয়েছে এ ব্যাপারে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।