নিজস্ব প্রতিনিধি মেহেরপুর : নিয়ম বর্হিভুত ভাবে মেহেরপুর সরকারী কলেজের গাছ কাটা হয়েছে। ৬ টি মেহগনি গাছ কেটে স্থানীয় স’মিলে পাঠিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ। যেকোন প্রতিষ্ঠানের গাছ মরা বা শুকনা গাছ কাটতে হলেও প্রশাসন ও বনবিভাগসহ কমিটির অনুমোদন লাগে। অনুমোদনের পরে তা নিলামে বিক্রয় করে অপসারণ করতে হবে। বনবিভাগ কিছু না জানলেও অধ্যক্ষর দাবী তিনি নিয়ম মেনেই গাছ অপসারণ করেছেন।
জানাগেছে মেহেরপুর সরকারি কলেজের বড় ও ছোট মিলিয়ে ৬ টি গাছ কাটা হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর অনেকটা গোপনে এ গাছগুলো কাটা হয়। নতুন বিল্ডিং এর পাশ দিয়ে কলেজ মাঠের পাশের গাছ কাটা হয়েছে। এ গাছগুলো চেরানোর জন্য শামসুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মাধ্যম দিয়ে পাঠানো হয় শহরের কলেজ রোডস্থ স’মিলে। গাছ কর্তনের বিষয়ে শামসুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তেমন কিছুই না। স্যাররা ভিতরে কলেজের বেঞ্চ বানাচ্ছে। স্যার বললো যদি কোন কাঠ কম পড়ে তাহলে এখান থেকে পচাঁ বা মরা ধরনের যেগুলো মোটামুটি নষ্ট হয়ে যাবে সেই গাছগুলো তুমি কেটে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করো। সে কারণে ৬টি গাছ কাটা হয়েছে।
অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল ইসলাম সরদার জানান, মরা যে গাছ গুলো ছিলো সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে এবং সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই কাটা হয়েছে। সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা জাফর উল্লাহ জানান, যেকোন প্রতিষ্ঠানের গাছ মরা বা শুকনা গাছ কাটতে হলেও প্রশাসন ও বনবিভাগসহ কমিটির অনুমোদন লাগে। মুল্য নির্ধারণ করে দেই বন বিভাগ। তার পর তা নিলামে বিক্রয় করা হয়। তবে মেহেরপুর সরকারী কলেজের গাছ কাটার বিষয়ে কোন অনুমোদন আছে কিনা আমার জানা নেই।