মো. হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ): মহান স্বাধীনতা দিবসের র্যালির প্রস্তুতিকালে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুলতান জনির (৩০) ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রসীরা। এসময় আরো ২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে দ্রুত গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডা. জনিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরে নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে। আহত জনিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, হামলাকারীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে, লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিঠিয়ে জনিকে মারাত্বক জখম এবং তার ডান পায়ের হাঁটুর প্যাটেল তিন টুকরো করে দিয়েছে। আহত জনি পৌরসভার পশ্চিম ভালুকা এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগ ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত হন। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনি এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, ঘটনারদিন সকাল ১০টার দিকে জনির নেতৃত্বে তার সমর্থকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের র্যালির উদ্দেশ্যে স্থানীয় নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জমায়েত হন। এসময় শহরে র্যালি বের করার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জনির ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিঠিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে। এ হামলায় জনির সমর্থক পশ্চিম ভালুকা এলাকার আকিক (২০) ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দিদারুল ইসলামসহ দশজন আহত হন।
জনির পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এলাকায় গণসংযোগ করে আসছিল জনি। ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে স্থানীয় লোকজনের কাছে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি জনির পক্ষে জনমত সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন জনির জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য মৃত্যুর হুমকী দিয়ে আসছিল। অবশেষে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি জনি পরিবারের লোকজনের। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, এ হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশী জোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।