বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধুকন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিয়েছেন। আমরাও একটা করে ঘর চাই, ঘর পেলে আমাদের দুঃখ ঘুঁচতো, ছেলে-মেয়েগুলোকে নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষের ঘর চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এভাবেই আকুতি জানান নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিলদহর এলাকার ৫ পরিবারের সদস্যরা। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলামের নজরে আসলে সরেজমিনে তাদের সাথে কথা বলেন এবং ঘর দেয়ার আশ্বাস দেন।
৫ পরিবার অন্যের জায়গায় ঘর তুলে বসবাস করছেন আবার কোনো পরিবারের স্থান হয়েছে অন্যের বাড়ি বা বাড়ির বারান্দায়। বিশ্বনাথ সরকার, আনন্দ সরকার, মান্নান মন্ডল, বেলা রানী ও সোনাতন বাদ্যকর। মান্নান মন্ডল ভাড়ায় অটোভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। বেলা রানীর বাড়িতে বৃদ্ধ স্বামী, আয়ের কোনো উৎস নেই। কোনোরকমে সংসার চলছে। বিশ্বনাথ সরকার, আনন্দ সরকার ও সোনাতন বাদ্যকর পেশায় নাপিত। অন্যের জায়গায় বসবাস করে আসছে। তাদের কারোই নিজস্ব জায়গা নেই।
ভূমিহীন সোনাতন বাদ্যকর বলেন, কোনো ক্রমেই আমার পক্ষে এক খন্ড জমি ক্রয় বা ঘর তৈরি করা সম্ভব না। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনে মানবতার মা শেখ হাসিনা জমি ও ঘর উপহার দিচ্ছেন। ইউএনও স্যারের মাধ্যমে বহু মানুষ ইতিমধ্যে জমি ও ঘর পেয়েছে, তারা সেখানে বসবাস করছে, আপন ঠিকানা পেয়েছে।
মান্নান মন্ডল বলেন, জমি ও ঘরের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমার কোনো ঠিকানা নাই। আমি স্থানীয় অনেকের কাছে বলেছি কিন্ত কেউ আমার দুঃখ কষ্ট বোঝেনি। একজন অসহায় গৃহহীন ও ভূমিহীন অসহায় মানুষ তাই মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ইউএনও স্যারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই। তা না হলে আমি ও আমার পরিবার খোলা আকাশের নিচে থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখছি এই পরিবারগুলো অসহায় ও ভূমিহীন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে আসছে। তাঁদেরকে প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, এলাকায় গিয়ে তাঁদের সাথে কথা বলেছি। প্রকৃত অর্থে তারা ভূমিহীন ও অসহায়। তাঁদেরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। কোনো পরিবার গৃহহীন থাকবে না।