তুষার হাবীব, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদাহ বাজারে সমবায় সমিতির নামে আইন বহির্ভূতভাবে ঋণ দিয়ে কিস্তি আদায়ের মাধ্যমে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন স্হানীয় আলতাফ হোসেন। শতকরা ২০–৩০ টাকা পর্যন্ত সুদ আদায়সহ বার্ষিক মেয়াদের পরিবর্তে মাসিক মেয়াদে সুদাসল আদায় করা হচ্ছে বলে জানা যায় যা সম্পূর্ণরূপে সমবায় আইন বা দেশের প্রচলিত বেসরকারি আর্থিক সংস্থার নিয়মনীতির সাথে সাংঘর্ষিক। এভাবে তারা অতিরিক্ত সুদ আদায় এবং সরকারি আইন ভঙ্গ করলেও স্থানীয় সমবায় অফিস কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এবং অতিরিক্ত সুদ প্রদানের মাধ্যমে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।
এ ব্যপারে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয় আমার জানা ছিলোনা, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইচ্ছা খুশিমত সুদের হার ধার্য্য ও গ্রহীতাদের বিপাকে ফেলে আদায় করা হচ্ছে সুদে আসলের টাকা। ভুক্ত ভুগীরা বলেছেন, বিপদে পড়েই তারা সমিতির ঋণ নেন, যে কারণে তাদের নিয়ম মেনেই সুদ গুনতে বাধ্য হন।
স্থানীয় গ্রাহকেরা এ সমিতির খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। এ সমিতির সাথে জড়িয়ে পড়ে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সমবায় সমিতির নামে এনজিওর খপ্পরে পড়ে স্বল্প সময়ের ঋণ পরিশোধের ফলে পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকে। অনেকেই হয়েছে এলাকাছাড়া। জানা যায় জোড়াদাহ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আকুল হোসেন আলতাফ হোসেনের রুপালী সমবায় সমিতির সুদের জালে আটকা পড়ে এলাকা ছাড়া হন। দেখা গেছে, সমবায়ের লাইসেন্স নিয়ে এনজিও’র মত করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন আলতাফ হোসেন। মেয়াদি আমানতসহ চড়া সুদে সমিতির বাইরেও বিভিন্ন লোককে দিচ্ছেন ঋণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জোড়াদাহের একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, রুপালী সমবায় সমিতি অঘোষিত পাশ বইয়ের মাধ্যমে চড়া সুদ আদায় করছে। প্রতিদিন কিস্তি আদায়, ৯০ দিনের মধ্যে কিস্তির সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ, সুদের হার ১০%, তাহলে ১ বছরে ৪০% হারে সুদ নিচ্ছে আর আমাদের টাকা নিয়ে সমিতির মালিকরা গাড়ি বাড়ি ব্যবসা বানিজ্য করে বিলাস বহুল জীবন জাপন করছে।
প্রতিদিন ঋন আদায়ের জন্য আলতাফের রয়েছে বেতনভূক্ত কর্মচারী। সম্প্রতি একজন সাংবাদিক রুপালী সমবায় সমিতির অনিয়মের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আলতাফ হোসেন তাকে মারধরের চেষ্টা চালান ও সংবাদ প্রকাশ না করার মর্মে হুমকি দেন বলে ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানিয়েছেন।