কক্সবাজার থেকে ইয়াছিন আরাফাত : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের দেয়া ব্যারিকেড ২৪ ঘন্টার মধ্যে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের আশ্বাসে অবশেষে ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৩টায় তুলে নিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা। জানা যায়, উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ বর্তমানে চলমান। ১৪শত ১৪ একর জমির আওতাধীন কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে সরাসরি যোগাযোগের জন্য বনাকাটা ঘাট হয়ে ব্রীজের মাধ্যমে কোহালিয়া নদীর উপর দিয়ে সংযুত্ত হচ্ছে। এতে বদরখালী পুরাতন ষ্টেশন থেকে জনতাবাজার হয়ে কালারমারছড়াসস্থ আফজলিয়া পাড়া থেকে বেশী ভাগ জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। অধিগ্রহণকৃত জমির মুল্য ও ক্ষতিপূরনের ফাইল ক্লিয়ার করে দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিসিডিবি নামের একটি এনজিও সংস্থা কে। উক্ত এনজিও অফিসের কর্তারা সম্পূর্ন কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করে ফাইল পত্র এল এ শাখায় দায়ের ও করেছেন জমির মালিকরা। কালারমারছড়ার আফজলিয়া পাড়া থেকে অধিগ্রহন কৃত জমি দেড় বছর আগে মালিকরা ছেড়ে ও দিয়েছে। ছেড়ে দেয়া জায়গার উপর গত এক বছর ধরে চলছে সড়ক নির্মাণের কাজ। এমন কি উক্ত সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কোন বাঁধা ছাড়া কাজ চালিয়ে গেলে ও বহু জমির মালিকরা এখনো সিকি পরিমান টাকা ও পায়নি। এমন কি ভুক্ত ভোগীরা ধার কর্য করে বহু টাকা ইতি মধ্যে খরচ ও করে ফেলেছেন।এতে জমির টাকা ও ক্ষতিপূরনের টাকা না পাওয়ায় গত ১ মাস পূর্বে জমির মালিকরা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে মির আকতার কোম্পানীর গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেন।
ঐ দিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঐ স্থানে উপস্থিত হয়ে এক মাসের মধ্যে স্ব-স্ব মালিকরা চেক পাবেন বলে আশ্বাস দিলে ঐ দিন ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যারিকেড তুলে নেন। কিন্তু আশার বাণী শুনালেও এক মাসের মধ্যে কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা গত ২৬ সেপ্টেন্বর বিকাল ৩টায় ঐ সড়কে ব্যারিকেড দেন। এতে মির আকতার ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের গাড়ী যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ২৭ সেপ্টেন্বর বিকালে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ,কালারমারছড়ার তহসিলদার জয়নাল আবেদীন, সিসিডিবি উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক শফিক রায়হান শোভন, কে সাথে নিয়ে উক্ত স্থানে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকলের কথা ধৈর্য সহকারে শুনেন। শুনার পর আগামী এক মাসের মধ্যে স্ব-স্ব মালিকরা চেক পাবেন বলে আশ্বাস দিলে বিকাল ২টায় ব্যারিকেড তুলে নেন। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক, আবু আহমদ হাজী ছিদ্দিক আহমদ, মৌঃওলানা সাহাব উদ্দিন সহ অনেকে জানান জমি অধিকগ্রহণের টাকা পায়নি তারা। আজ দিবে কাল দিবে বলে কালক্ষেপণ করছে। এ বিষয়ে সিসিডিবি এরিয়া ম্যানেজার আব্দু রাজ্জাক বলেন, ফাইলের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি নেই। এল এ শাখার চেক স্ব-স্ব মালিকরা পাওয়ার পর সিসিডিবি অফিস থেকে বাকী টাকা দেয়া হয়। কিন্তু জমা করা সব ফাইল ক্লিন থাকার পর ও ভূমি অধিকগ্রহন (এল এ শাখা) থেকে চেক বিতরণ না করায় সিসিডিবি থেকে চেক দেয়া সম্ভাব হচ্ছে না। ফাইলের বিরুদ্ধে মামলা কিংবা আপত্তি না থাকার পরও ফাইলের চেক ছেড়ে না দেয়ায় বহু পরিবার অনাহারে অর্ধহারে জীবন যাপন করছে।